জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও জলবায়ু বিষয়ক সাংবাদিকরা বলেছেন, সদ্য সমাপ্ত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ক্ষতিগ্রস্ত দেশের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। আর এজন্য দায়ী উন্নত দেশ।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিকরা এ কথা বলেন। ভার্চুয়াল এই আলোচনা সভায় বিভিন্ন দেশের জলবায়ু বিষয়ক সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেন, কপ-২৯ এ উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ৩০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু কীভাবে এই অর্থ দেওয়া হবে তা উল্লেখ করা হয়নি। যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দাবি ছিলো— জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজন ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। অথচ উন্নত দেশগুলো যে অর্থের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। এছাড়া জলবায়ু অর্থায়নের নতুন লক্ষ্যমাত্রায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অবদান রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা পরিস্থিতিকে জটিল করছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি— জলবায়ু অর্থায়নের নামে উন্নয়নশীল দেশগুলো ঋণের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকির মধ্যে আছে। তাই জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়ে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সজাগ থাকতে হবে।
এছাড়া লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড নিয়েও ভার্চুয়াল আলোচনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বিশেষজ্ঞরা। কারণ লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডে কী পরিমাণ অর্থ আছে, তা জানে না বিশ্বব্যাংক। অথচ বিশ্বব্যাংকই অর্থ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে।
গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্কের কনভেনর হাবিব রহমান বলেন, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ধরে রাখা এখন বড় কঠিন। কারণ উন্নত দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণ কমাচ্ছে না। জলবায়ু ক্ষতি মোকাবিলায় অর্থও দিচ্ছে না। সব মিলিয়ে সামনে আরও কঠিন সময় মোকাবিলা করতে হবে বলে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জানান জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাংবাদিকরা।
বিজ্ঞাপন
তাই সব ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে একজোট হয়ে জলবায়ু অর্থায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে উন্নত দেশগুলো বাধ্য করতে কাজ করার উপর জোর দেন সাংবাদিক ও বিশেজ্ঞরা। পাশাপাশি ব্রাজিলে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হবে কপ-৩০। সামনের কপে কীভাবে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে অর্থ আদায় করা যায়, সে বিষয়ে গণমাধ্যমকে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নেন, গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্কের কনভেনর হাবিব রহমান, বোরহানুল আশেকিন, শামীম জাহাঙ্গীর, আজিজুর রহমান ও ইতালির এলিসা ক্যাবিয়াল প্রমুখ।
এছাড়া অংশ নেন জাকির হোসেন খান, প্রধান নিবাহী কর্মকর্তা, চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ, শরীফ জামিল, সদস্য পরিচালক, ওয়াটার কিপারস এলিয়েন্স, অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ক্যাপস।
বিইউ/এইউ

