মেট্রোরেলে ভ্রমণে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাসের নতুন রেজিস্ট্রেশন সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। একইসঙ্গে নষ্ট হয়ে যাওয়া কার্ডের নবায়নও বন্ধ রয়েছে। তবে একক যাত্রার টিকিট দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মেট্রোরেল পরিচালনা সংস্থা ডিএমটিসিএল এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
পোস্টে বলা হয়, অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত কার্ড রেজিস্ট্রেশন এবং পুনরায় ইস্যু করার সুবিধা বন্ধ থাকবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এদিকে এমআরটি পাস নিয়ে এমন তথ্য জানার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেট্রোরেল ব্যবহারকারীরা নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকেন। অনেকে বলেছেন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) র্যাপিড পাস প্রকল্প থেকে জাপানি দাতা সংস্থা জাইকা চলে যাওয়ায় এমন জটিলতা তৈরি হয়েছে।
তবে জাইকার চলে যাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়নি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা। মেট্রোরেলের লাইন-৬ এর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, এমআরটি পাস আমাদের নিজস্ব। কিন্তু এটি ইস্যু ও রি-ইস্যুর কাজটি করা হয় ডিটিসিএ’র সার্ভারে। অনেক সময় সার্ভার ত্রুটির জন্য আমরা সেবা পাই না। তখন বাধ্য হয়ে আমাদের কার্ড ইস্যু ও রি-ইস্যু বন্ধ থাকে। সার্ভারে কাজ চলছে, তাই সাময়িক সমস্যা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের এক কর্মকর্তাও এমনই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, সার্ভার ত্রুটি সারাতে সবমিলিয়ে ৭ দিন সময় চেয়েছে দেখভালকারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু মাইগ্রেশনের কাজটি একদিনেই হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। আশা করা যায় এমআরটি কার্ড ইস্যু ও রি-ইস্যু দ্রুতই চালু হবে।
এদিকে মেট্রোরেল ভ্রমণে বর্তমানে তিনটি বিশেষায়িত কার্ড ব্যবহার করা যায়। এসব কার্ডের মধ্যে একক যাত্রার কার্ড ও ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পাস কার্ড মেট্রোরেলের নিজস্ব। এছাড়া ডিটিসিএ র্যাপিড পাস কার্ড ব্যবহার করেও মেট্রোরেলে ভ্রমণ করা যায়।
এমএইচএম
