রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

জেলায় জেলায় অভিযানে বন্ধ অনুমোদনহীন ক্লিনিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২২, ০৭:৩৩ এএম

শেয়ার করুন:

জেলায় জেলায় অভিযানে বন্ধ অনুমোদনহীন ক্লিনিক
অনুমোদনহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ছবি: ঢাকা মেইল

অনুমোদনহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সংস্থাটি ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে, যা শেষ হচ্ছে আজ রোববার (২৯ মে)। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. বেলাল হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমরা তাদের ৭২ ঘণ্টার সময় দিয়েছি। রোববার (২৯ মে) এই সময় শেষ হবে। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, যেন তারা নিজেরাই এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। তাহলে আমরা তাদের সাধুবাদ জানাবো। আর তা না হলে আমরা নিজেরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এক্ষেত্রে সিলগালা করে দেওয়াসহ কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।’


বিজ্ঞাপন


অধিদফতরের কাছে কোনো তালিকা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে অনিবন্ধিত বা অবৈধ কোনো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকা নেই। তবে নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা রয়েছে। প্রত্যেকটি জেলায় একটি নির্দিষ্টসংখ্যক নিবন্ধিত ক্লিনিক ও হাসপাতাল আছে। তার তালিকা সিভিল সার্জনদের কাছে রয়েছে। এর বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে তারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সেগুলোর তালিকা তৈরি করে আমাদের কাছে পাঠাবে।’

শনিবার (২৮ মে) দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে শ-খানেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

নাটোরে ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী নাটোরে সাতটি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৮ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মাহাবুবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খালিদ হাসানের নেতৃত্বে নাটোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।


বিজ্ঞাপন


ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, নাটোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। এসময় অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র না থাকায় পদ্মা ক্লিনিক, প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তামান্না ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মদিনা চক্ষু হাসপাতাল, চক্ষু ক্লিনিক ও ফ্যাকো সেন্টার এবং হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার সিলগালা করা হয়।

জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাটোর জেলায় দুই শতাধিক ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ১৭০টি বৈধ। প্রথম দিনে ১২টি বন্ধের তালিকা থাকলেও অভিযান চালিয়ে সাতটি বন্ধ করা হয়েছে। বাকি পাঁচটি শেফা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নাটোর ডায়াবেটিক, হৃদ ও চক্ষু হাসপাতাল, সূর্যের হাসি ক্লিনিক, গ্রামীণ হাসপাতাল ও জমজম হাসপাতাল রয়েছে বলে জানান।

নোয়াখালীতে লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক সিলগালা

নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ, লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে প্রশাসন। অভিযানকালে জেলার বেগমগঞ্জে তিনটি, সোনাইমুড়ীতে দুটি, সদরে একটি, সেনবাগে দুটি ও চাটখিলে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিক সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৮ মে) দিনব্যাপী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করা হয়। এদিন অভিযানে আটটি এবং এর আগের দিন (শুক্রবার) একটি  প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়।

সিলগালা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, চাটখিলের এশিয়ান ফিজিওথেরাপি সেন্টার, সদরের দত্তেরহাটের নোয়াখালী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল, বেগমগঞ্জের ছয়ানির মালিয়া ডায়াগনস্টিক এন্ড ডায়বেটিস, বাংলাবাজারের নিউ চৌধুরী প্যাথলোজি ল্যাব, রাজগঞ্জের বিসমিল্লাহ্ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সোনাইমুড়ীর আল হাবিব হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, কাশিপুরের লাইফ লাইন প্যাথলোজি, সেনবাগের কানকিরহাটের সিটি ডায়াগনস্টিক এবং ছাতারপাইয়া বাজারের জেনুয়িন ডায়াগনস্টিক ল্যাব অ্যান্ড কনসালটেশন।   

বরিশালে লাইসেন্সবিহীন চার ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

বরিশালের গৌরনদীতে অভিযান চালিয়ে লাইসেন্স বিহীন চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা সদরে অভিযান চালিয়ে এগুলো বন্ধ করা হয়।

ovijan

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর লাইসেন্সবিহীন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ডায়গনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিকগুলোকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আশা, ইয়াসিন, নিউ বনানী ডায়গনস্টিক সেন্টার ও সান এক্স-রেসহ মোট চারটি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ধামরাইয়ে অনিবন্ধিত চার হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা

৭২ ঘন্টার মধ্যে অবৈধ অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার পর ঢাকার ধামরাইয়ে অভিযান পরিচালনা চালিয়ে দুটি ক্লিনিক ও দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করেছে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

শনিবার (২৮ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরার নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে সার্টিফিকেট ছাড়া চিকিৎসক পরিচয়ে ডেন্টাল ক্লিনিক পরিচালনার দায়ে ধামরাই বাজার এলাকার রুমা ডেন্টাল কেয়ার এবং মামুন ডেন্টাল কেয়ার নামের দুটি ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনিবন্ধিত ও মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট না থাকায় আবির ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং প্রয়োজনীয় কাগজ নবায়ন না করায় ও ল্যাব স্যাতস্যাতে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের দায়ে সন্ধানী এক্সরে অ্যান্ড প্যাথলজির কার্যক্রম বন্ধ করে ল্যাব ও আনুষাঙ্গিক বিষয়ে মানোন্নয়নসহ অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন করে কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ঠাকুরগাঁওয়ে তিন ক্লিনিক সিলগালা

ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় শহরের পাঁচটি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিনটি বেসরকারি ক্লিনিককে সিলগালা ও একটিকে জরিমানা করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ মে) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার রহমান।

এসময় শহরের উত্তরা ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডিনোভা ডক্টরস জোন এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা ও প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে পাচঁ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও যমুনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃপক্ষের মুচলেকা নেওয়া হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার রহমান ঢাকা মেইলকে জানান, অভিযান চলাকালে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাদের কার্যক্রম পরিচালনার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তাই সেগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও উত্তরা ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কম্পিউটার অপারেটারকে আটক করা হয়েছিল কিন্তু তাকে পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

নেত্রকোনায় ১২ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

নেত্রকোনায় নিবন্ধনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এ সময় নিবন্ধনহীন ১১টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ও একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়।

শনিবার (২৮ মে) বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সজীব রায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।

ovijan3

অভিযানে সহযোগিতা করেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান, স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুব্রত চক্রবর্তী, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আলী আকবর ও থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল হান্নান। অভিযান চলাকালে একই উপজেলার আরও ৬ প্রতিষ্ঠানকে তাদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয়।

যশোরে ৬ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ

যশোরে একটি ক্লিনিকসহ ছয়টি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার (২৮ মে) জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাকিব রাসেলের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করেন।

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাকিব রাসেল বলেন, শনিবার অনিবন্ধিত ও নিবন্ধনের মেয়াদোত্তীর্ণ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। দিনভর যশোরের ৩৫টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালালে এর মধ্যে ছয়টি প্রতিষ্ঠান কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে যতদিন পর্যন্ত তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্ধ হওয়া ক্লিনিক ও  ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হলো- যশোর শহরের পিস হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নূরুল ইসলাম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রোটারি হেলথ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিএমসি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

হবিগঞ্জে ১০ ক্লিনিক বন্ধ

হবিগঞ্জের কয়েকটি উপজেলায় কাগজপত্র না থাকায় ১০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। জেলার চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করেন।

শনিবার (২৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মাধবপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলামের নেতৃত্বে মাধবপুরে প্রাইভেট ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় লাইসেন্স ও নবায়নের কাগজপত্র না থাকায় অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক, হক ডায়াগনস্টিক, প্রাইম ডায়াগনস্টিক ও তিতাস শিশু জেনারেল হাসপাতাল (২) সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

চুনারুঘাট উপজেলায় সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল হকের নেতৃত্বে অভিযানকালে পাঁচটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়। এগুলো হলো চুনারুঘাট শহরের দি গ্রিন ডায়াগনস্টিক, ঢাকা ডায়াগনস্টিক, সূর্যের আলো ডায়াগনস্টিক, এম কে ক্লিনিক ও শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকার পিপলস ডায়াগনস্টিক।

অভিযানের সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হোসেন ও ওসি আলী আশরাফ উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদপুরে ২০টি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

ফরিদপুর সদর উপজেলাসহ জেলার পাঁচটি উপজেলায় ২০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার (২৮ মে) দিনভর সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম অভিযান চালিয়ে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করেন।

vijan4

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অনিবন্ধিত ও নিবন্ধনের মেয়াদোত্তীর্ণ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ সময় জেলা সদরের ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সালথা উপজেলার ৩টি, মধুখালী উপজেলার ৭টি, বোয়ালমারী উপজেলার ৭টি ও সদরপুর উপজেলার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

খুলনায় সাতটি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

খুলনায় অবৈধ সাতটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ও সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৮ মে) বিকেলে ফুলতলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

বন্ধ ঘোষণা করা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হচ্ছে- ফুলতলা বাজারের জামিরা সড়কের কাজী নুর হোসেনের মালিকাধীন আল-শেফা ডায়াগনস্টিক, ইমরানুল ইসলাম রুমনের সেবা ডায়াগনস্টিক, ডা. শফিউদ্দিন মোল্যার করিমুনেচ্ছা প্যাথলজি, শিকিরহাট সড়কের মো. ইরসাফিল হোসেনের স্কয়ার ডায়াগনস্টিক, বেজেরডাঙ্গা বাজারের হাসানুজ্জামান মোড়লের মেডি ল্যাব প্যাথলজি, শিরোমনির ডা. কামাল হোসেনের দি গ্রেট হাসপাতালের প্যাথলজি বন্ধ এবং তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া নতুনহাট এলাকার নিপুন চন্দ্রের মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিল করে দেওয়া হয়েছে।

কাজিপুরে বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে অভিযান

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার একটি হাসপাতালসহ কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছেন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল।

শনিবার (২৮ মে) দুপুরে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত যমুনা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আলফা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, উপজেলা সদরে অবস্থিত কাজিপুর ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সোনামুখীতে নিউ হেলথ কেয়ার ক্লিনিক ও ফারুক আল নাসির ওয়েলফেয়ার হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় তিনি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যমুনা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইশ গজের বাইরে সরানোর জন্যে এক মাসের সময় দেন। এছাড়া অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে সরকারী বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।

এ সময় সোনামুখী ফারুক আল নাসির ওয়েলফেয়ার হাসপাতালটির কাগজপত্র অনুযায়ী লোকবল এবং প্যাথলজির কোন প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান না থাকায় হাসপাতালটি বন্ধের নির্দেশ দেন।

অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. জাকারিয়াসহ কাজিপুর থানার পুলিশ ফোর্স।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর