শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কলকাতা, জানুন কীভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২২, ০৫:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কলকাতা, জানুন কীভাবে
জুনে পদ্মা সেতু চালু করতে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ।

মাত্র চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ভারতের কলকাতায় পৌঁছানো যাবে। অসম্ভব মনে হলেও সত্যি হচ্ছে শিগগির! পদ্মা সেতুর কল্যাণে লম্বা দূরত্বের এই পথ পাড়ি দেওয়া যাবে অনায়াসে। সময় বাঁচবে চার থেকে ছয় ঘণ্টা। সড়কপথে এখন ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্ব ৪০০ কিলোমিটার।

ট্রেন যোগে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে পথ বাঁচবে ১৫০ কিলোমিটার। ফলে ২৫০ কিলোমিটার পথ ট্রেনে যাওয়া যাবে চার ঘণ্টায়।


বিজ্ঞাপন


২৫ জুন চালু হচ্ছে পদ্মা সেতু। যদিও এই সেতু চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেন চলবে না। এজন্য অপেক্ষা করতে হবে বছরের শেষ পর্যন্ত।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘এখন ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে সময় লাগে প্রায় ১০ ঘণ্টা। কিন্তু আগামী দিনে চার ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে কলকাতা।’ ২০২৪ সালে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হবে আশাবাদী মন্ত্রী। 

এখন কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতা স্টেশন থেকে নদিয়া পেরিয়ে যায় গেদে। গেদে থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত স্টেশন দর্শনা পার করে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছে ১০ ঘণ্টায়। ৪০০ কিলোমিটারের লম্বা রাস্তা।

পদ্মা সেতুর রেললাইন ধরে ঢাকা পৌঁছতে হলে কলকাতা থেকে বনগাঁ জংশন হয়ে হরিদাসপুর সীমান্ত দিয়ে বেনিয়াপোল, যশোর, নড়াইল, ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে শুধু ২৫১ কিলোমিটার পথ যেতে হবে।


বিজ্ঞাপন


জুনে পদ্মা সেতু চালু করতে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। এসব কাজ ‍জুনের মাঝামাঝিতেই শেষ হবে। 

podma2

সেতুটির সাজসজ্জার কাজ এর মধ্যেই প্রায় শেষের পথে। অনুষ্ঠানিকভাবে সেতু উদ্বোধন করতে ফলক নির্মাণের কাজও চলছে পুরোদমে। পিচ ঢালাই শেষ হয়েছে। এখন পিচে রোড মার্কিং করা হচ্ছে। সেতুর প্যারাপেট ওয়ালে বসানো ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষের পথে। সেতুতে সাধারণ আলোর ব্যবস্থা ছাড়াও থাকছে ‘আর্কিটেকচারাল লাইটিং’। সেতুর সৌন্দর্যায়নের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি সংগ্রহশালাও। তাতে পদ্মা সেতু তৈরির বিভিন্ন উপকরণ প্রদর্শন করা হবে।

নদীতে ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতু। আর দুই পাশের সড়ক মিলিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার লম্বা এই সেতু। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হয়েছে এ সেতুর কাঠামো।

এজেড/জেবি

 

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর