জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে আজও উত্তপ্ত প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়। ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা আজও বিক্ষোভ করছেন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
বিক্ষোভকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বৈঠক চলছে।
চলতি সপ্তাহে দুই দফায় দেশের ৫৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন এ পদায়নে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি তোলেন উপ-সচিব পর্যায়ের কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা। তারা মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এম আলী আযমের কক্ষে প্রবেশ করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। তারা ওই যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে এককভাবে ডিসি পদায়নের তালিকা তৈরির অভিযোগ তোলেন।
বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তাদের অভিযোগ, যে ৫৯ জনকে ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের সময়ে ভালো পদে ছিলেন। তারা এ সরকারের সময়েও ডিসি হলেন। অথচ যারা বঞ্চিত ছিলেন, সব যোগ্যতা থাকার পরও বিরোধী মতের কারণে যাদের গুরুত্বহীন করে রাখা হয়েছিল তারা গুরুত্ব পাচ্ছেন না।
বিজ্ঞাপন
এদিকে কর্মকর্তাদের আপত্তির মুখে ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। বুধবার বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সদ্য নিয়োগ পাওয়া ডিসিদের একটি ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেটি অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়েছে। এজন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডিসিদের পদায়ন হওয়া কর্মস্থলের উদ্দেশে যাত্রা করতে বারণ করা হয়েছে।
জেবি