কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক পর্যায়ে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। এই আন্দোলন দমনে শুরু থেকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে পুলিশ। এতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতার পাশাপাশি পুলিশও বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে। এই আন্দোলনে পুলিশের ৪৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। তাদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, এই আন্দোলনে তাদের ৪৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত পুলিশ সদস্যদের নাম-পরিচয় সম্বলিত একটি তালিকাও সরবরাহ করা হয়েছে পুলিশ সদর দফতর থেকে।
বিজ্ঞাপন
যদিও এর আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলায় ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই আন্দোলনে মোট কতজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি সদর দফতর।
বিজ্ঞাপন
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন মাঠে গড়ায় গত ১ জুলাই। শুরুতে আন্দোলন অহিংস থাকলেও ১৬ জুলাই থেকে তা সহিংস রূপ নেয়। তখন থেকেই আন্দোলনকারীসহ সাধারণ জনতার ক্ষোভ ছিল পুলিশের ওপর। শেখ হাসিনার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা করে ১৪ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর দেশজুড়ে বিভিন্ন থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। বিভিন্ন থানায় ভাঙচুর ও লুটপাট চলে। শুধু ঢাকাতেই ৪৪টি থানায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। সারাদেশে বেশির ভাগ থানা আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশ সদস্যরা থানা ছেড়ে চলে যান। প্রায় এক সপ্তাহ পর থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
এমআইকে/জেবি