শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা বেতন দাবি সরকারি কর্মচারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২২, ০৪:৩০ পিএম

শেয়ার করুন:

সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা বেতন দাবি সরকারি কর্মচারীদের
ছবি: ঢাকা মেইল

ছয় সদস্যবিশিষ্ট পরিবারের ব্যয় বিবেচনায় সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন ২৫ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি বাস্তবায়ন ঐক্য ফোরাম। সেই সঙ্গে নবম জাতীয় পে-কমিশন গঠনসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (২২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে এই দাবি জানান সংগঠনের আহ্বায়ক মো. হেদায়েত হোসেন।


বিজ্ঞাপন


এতে বলা হয়, নবম পে-স্কেল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য ১১-২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ও শতভাগ পেনশন দিতে হবে। একই সঙ্গে স্বেচ্ছায় অবসরে চাকরির বয়সসীমা ২০ বছর নির্ধারণ এবং আনুতোষিক প্রতি এক টাকায় ৩০০ টাকা ও পে-কমিশনে কর্মচারীদের প্রতিনিধি রাখতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক মো. হেদায়েত হোসেন সরকারি কর্মচারীদের অন্য দাবিগুলো তুলে ধরে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের প্রথম শ্রেণি ও সহকারী শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণি কর্মকর্তার পদমর্যাদা দেওয়াসহ শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি ব্লক পদ প্রথা প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সঙ্গে পদোন্নতিযোগ্য পদ শূন্য না থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পর উচ্চতর পদের বেতন স্কেল প্রদান করতে হবে।

এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদেরকে যৌক্তিকভাবে ঝুঁকি ভাতা প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রথা বিলুপ্ত করতে হবে।

হেদায়েত হোসেন বলেন, প্রজাতন্ত্রের সিনিয়র সচিব থেকে শুরু করে ২০তম গ্রেডে কর্মরত সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বৈষম্য নিরসনের দিকটি বিবেচনায় নিয়ে শত শত স্কেলকে বিলুপ্ত করে ১০টি গ্রেডের একটি সুষম বেতন কাঠামো উপহার দেন।

১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর স্বৈরাচারী সরকার ১৯৭৭ সালের বেতন স্কেলে প্রচলিত ১০টি গ্রেডের পরিবর্তে ২০টি গ্রেডে বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কর্মচারীদের মাঝে বৈষম্যের সূত্রপাত করা হয়।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি বাস্তবায়ন ঐক্য ফোরামের আহ্বায়ক বলেন, ১৯৭৭ সালে ২০টি গ্রেডে বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করে যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়, তা পরের প্রতিটি বেতন স্কেলেই অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫ সালের সচিবালয়ের সঙ্গে সচিবালয়ের বাইরের কর্মচারীদের মধ্যে পদবি বৈষম্য সৃষ্টি করে এ বৈষম্যকে আরেক দফা বৃদ্ধি করা হয়।

হেদায়েত হোসেন বলেন, এরপর থেকেই বৈষম্য আর অবহেলাকে ঘিরে কর্মচারীদের ন্যায্য আন্দোলন চলতে থাকলেও তার অবসান হয়নি। বরং বিভিন্ন কৌশলে এ বৈষম্যকে আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের সমন্বয়ক মো. লুৎফর রহমান, মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএম/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর