বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আমি কারও কানের পর্দা ফাটাইনি: এমপি আনার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২২, ০৭:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

আমি কারও কানের পর্দা ফাটাইনি: এমপি আনার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের সরকারি মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। তিনি বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে শিক্ষককে পেটানোর যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়। বৃহস্পতিবার সরকারি মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সব বানোয়াট। ভিত্তিহীন। এ নিয়ে আমি বড্ড ঝামেলায় আছি।’

শনিবার ঢাকা মেইলকে এসব কথা বলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য।


বিজ্ঞাপন


আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘আমি চড় মেরে কারও কানের পর্দা ফাটাইনি। পত্রপত্রিকায় যা লেখালেখি হয়েছে তা সব ষড়যন্ত্রমূলক। তবে সেখানে দুদকের মামলার কাগজপত্র ফেরত নিয়ে তর্কাতর্কি হয়েছে।’

গত বৃহস্পতিবার সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজে ঢুকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন এবং গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে এমপি আনারের বিরুদ্ধে। আনোয়ারুল আজিমের এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড়ে শিক্ষক সাজ্জাদ হোসাইনের কানের পর্দা ফেটে যায়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর শিক্ষক মোশারফ হোসেন বাইরে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় শিক্ষকদের নিরাপত্তার দাবিতে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করা হয়। বিষয়টি জানাজানির পর এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। সমালোচনা করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরাও।

সেদিনের ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে ফোন করা হলে আনোয়ারুল আজিম ঢাকা মেইলকে বলেন, সেদিন কোনো মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। তবে কিছুটা তর্কাতর্কি হয়েছিল।


বিজ্ঞাপন


ঝিনাইদহ-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘সরকার মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ও ভূষণ হাইস্কুলকে ২০১৪ সালে জাতীয়করণ করে। স্থানীয় সংসদ সদস্য হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের দেখভাল করার দায়িত্ব আমার। ঘটনার দিন আমি কলেজে গিয়েছিলাম এটা সত্য। আমি শিক্ষক কর্মচারীদের ডেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য বলেছি। আমি বলেছি কলেজে কেউ রাজনীতি করবেন না। এ সময় আমার সঙ্গে যারা গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে কেউ আগে দায়ের করা দুদকের দুর্নীতির মামলার কাগজপত্র ফেরত চান। তখন শিক্ষক মোশারফ হোসেন বলেন লিখিত ডকুমেন্ট ছাড়া এসব কাগজপত্র দেওয়া যাবে না। আমি বলেছি আপনি লিখিত মুচলেকা নিয়ে কাগজপত্র দিয়ে দেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কি হয়েছিল।’

অপর শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেনকে চড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে আনোয়ারুল আজিম বলেন, সব আজগুবি কথা। এমন কিছুই হয়নি। আপনি নিশ্চিন্ত মনে লিখে দিতে পারেন এমন কিছুই ঘটেনি।

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর