সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার দাবি করা হলেও আরও এক দফা বাড়িয়ে শনিবারও দেওয়া হয়েছে কারফিউ। জনমনে স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত কারফিউ চলবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে নিজ বাসভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিল করা হবে।
কোটা আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।
কোটা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়।
ব্যাপক সংঘর্ষের পর ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট সেবা, আর তার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল ইন্টারনেট। এমন প্রেক্ষাপটে শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকা শহরে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ১৮ জুলাই সারাদেশে সহিংসতার জেরে ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে সরকার। এ সময় গত শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিন নির্বাহী আদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এমআর