রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

কেউ যেন আইন ফাঁকি দিতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৯ পিএম

শেয়ার করুন:

কেউ যেন আইন ফাঁকি দিতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যারা পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, মেট্রোরেল-বিটিভিতে আগুন দিয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালে বিচার হয়েছিল, অনেকেই ফাঁক-ফোঁকর গলে বের হয়ে গেছেন। এবার যাতে কেউ আইন ফাঁকি দিয়ে বের হতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে সাপ্তাহিক গণ বাংলা আয়োজিত ‘দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের শপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে রাষ্ট্র আক্রান্ত। তারেক রহমানের নির্দেশে রাষ্ট্রের ওপর এই হামলা হয়েছে। গতকাল তিনি টেলিভিশনের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, ছাত্রলীগ মারলে পাঁচ হাজার টাকা, পুলিশ মারলে দশ হাজার টাকা। আমির খসরু মাহমুদ নির্দেশ দিয়েছেন তাদের তরুণ নেতাকর্মীদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য। এইসব অডিও ক্লিপ সরকারের হাতে আছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দল না, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রকৃত কোনো ছাত্র এই ধরনের হামলা-অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত ছিল না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তাদের নেতাকর্মী ও জামায়াত ইসলাম রাষ্ট্রের ওপর এই হামলা চালিয়েছে। এসব ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। যারা পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, মেট্রোরেল-বিটিভিতে আগুন দিয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিচার হবে। আমরা এটি করতে বদ্ধপরিকর। ২০১৩-১৪ সালে বিচার হয়েছিল, অনেকেই ফাঁক-ফোঁকর গলে বের হয়ে গেছেন। এবার যাতে কেউ আইন ফাঁকি দিয়ে বের হতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।

সরকার কোটা পুন:বহাল করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকে বলে আসছিলাম, সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান হবে। সেটিই হয়েছে। তাহলে এই আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি-জামায়াত, অগ্নি সন্ত্রাসী, দেশবিরোধী অপশক্তি, জঙ্গিগোষ্ঠীকে কারা সুযোগ করে দিয়েছে, সেই প্রশ্ন আজকে দেখা দিয়েছে। যদি একটু ধৈর্য ধরা হতো তাহলে বিএনপি-জামায়াত, জঙ্গিগোষ্ঠী দেশবিরোধী অপশক্তি এই সুযোগ পেত না। এটি সবাইকে বুঝতে হবে এবং ছাত্র নেতাদেরও এটি অনুধাবন করতে হবে। ছাত্র নেতাদের খোঁজ নেওয়া দরকার যে, তাদের মধ্যে এই দেশবিরোধী অপশক্তি বা জঙ্গিগোষ্ঠীর কোনো এজেন্ট ঢুকেছে কিনা।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী এই নির্মমতার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেক সাধারণ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থীও যে ঘটনার শিকার হননি তা নয়। সমস্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের বিচার আওতায় আনা হবে —এই প্রতিশ্রুতি শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে দিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর