শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মৌসুমি ফলের বাজারে আগুন

সেলিম আহমেদ
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২২, ০৯:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

মৌসুমি ফলের বাজারে আগুন
ছবি: ঢাকা মেইল

মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসতে না আসতেই বাজারে আসতে শুরু করেছে মৌসুমি নানা জাতের ফল। গ্রীষ্ম মৌসুমে খরাক্লিষ্ট মানুষ তাই তৃষ্ণা মেটাতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ফলের দোকানে। তবে দাম নিয়ে চরম অসন্তোষ ক্রেতাদের। তারা বলছেন- অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় এবার ফলের দাম বেশি।

ক্রেতাদের এমন অভিযোগ স্বীকারও করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন- এখনও ফলের পুরো মৌসুম শুরু হয়নি। মৌসুমের শুরুতে দাম একটু বেশি থাকে। এছাড়া এবার ফলও কম উৎপাদন হয়েছে। তাই ভরা মৌসুমেও দাম বেশি থাকবে।


বিজ্ঞাপন


শুক্রবার (২০ মে) বিকেলে রাজধানীর কাওরানবাজার, খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা ও বায়তুল মোকাররম এলাকার ফল বাজার ঘুরে এমন তথ্যই মিলেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্তরে স্তরে নানা জাতের ফল সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। তবে এখনও আসেনি মৌসুমি সব ফল। ক্রেতা দেখলেই হাঁক-ডাক দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে ফলের দর কষাকষি করছেন ক্রেতারাও।

Fruit

বাজারে এখন পর্যন্ত এসেছে রাজশাহী ও সাতক্ষীরার হিমসাগর ও সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ আম। বাকি বিভিন্ন জাতের আমগুলো এখনও বাজারে আসেনি। উত্তরের জেলা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর সব জাতের আমের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও সপ্তাহখানেক।


বিজ্ঞাপন


এরমধ্যে রাজশাহীর হিমসাগর আমের কেজি ১৮০-২০০ টাকা, সাতক্ষীরার হিমসাগর ১৫০-১৬০ টাকা, সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ ১৪০-১৬০ টাকা ও একই জেলার ল্যাংড়া ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, মানিকগঞ্জের কালো জাম ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর লিচুর মধ্যে সোনারগাঁওয়ে কদবি লিচু একশ’ পিস ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এখনও বাজারে আসেনি দিনাজপুরের বেদানা লিচু। তা আসতে সময় লাগবে আরও তিন-চার দিন। এরমধ্যে কোনো কোনো দোকানে আসলেও ১০০ পিস লিচুর দাম হাঁকানো হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা।

Fruit

অন্যদিকে, তাল প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা দরে। পাশাপাশি সাদা জামরুল কেজিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা আর লাল জামরুল ৯০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এর পাশাপাশি বাজারে মধুপুরের আনারস হালিপ্রতি ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে আকারভেদে গাজীপুরের প্রতিটি কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ৪০০ টাকায়। আর বেল প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা দরে।

Fruit

কাওরান বাজারের ফল বিক্রেতা সোহেল মিয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলও পাকতে শুরু করেছে। বাজারে যেমন ফল আসছে, তেমনি ক্রেতাও আছে। তবে দাম একেক জায়গায় একেক রকম।

ফল ক্রেতা মাহফুজ মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় এবার দাম বেশি। আবার কিছুকিছু অসাধু ব্যবসায়ী ফল পাকার আগেই নিয়ে এসেছেন। তাই দেখে-শুনে ফল কিনতে হচ্ছে।

আব্দুল বাছির নামে আরেক ক্রেতা বলেন, গত বছর মৌসুমের শুরুতে রাজশাহীর হিমসাগর আম কিনেছি ১০০-১২০ টাকা দরে। এবার কিনতে হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেই দাম বাড়িয়েছেন। আবার ফরমানিল দিয়েও ফল পাকিয়ে বিক্রি করছেন। তাই প্রশাসনের মনিটরিং বাড়ানো উচিত।

Fruit

এদিকে, বায়তুল মোকাররমের সামনের ফল ব্যবসায়ী আলী হোসেন ভুট্টু ঢাকা মেইলকে বলেন, আরও ১০-১৫ দিন গেলে বুঝা যাবে দাম বাড়বে কি না। তবে নতুন ফল আসছে, এই হিসেবে এখন দাম একটু বেশি।

অপর বিক্রেতা শাহাজান খান বলেন, অন্য বছরের তুলনায় সব জায়গায় ফল ধরার সময়ে খরা থাকায় ফলন কম হয়েছে। তাই আগের বছরের থেকে এবার দাম বেশি থাকবে।

একই কথা জানালেন খিলগাঁও রেল গেটের ফল বিক্রেতা মে. সিরাজ। তিনি বলেন, নতুন অবস্থায় দাম একটু বেশি। তবে ভরা মৌসুমে ফলের দাম ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।

এসএএস/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর