বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত জুন মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ১৭২ কোটি ৯৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।
জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে— ৩ কেজি ৮৯১ গ্রাম স্বর্ণ, ১৬ কেজি ২০ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩০টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৩ হাজার ৫০১টি ইমিটেশন গহনা, ১৭ হাজার ৫১৮টি শাড়ি, ১২ হাজার ৪৪৪টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরি পোশাক, ১ হাজার ২২২ ঘনফুট কাঠ, ৩ হাজার ৩৯৭ কেজি চা পাতা, ১০ হাজার ৬০০ কেজি কয়লা, ১২০ ঘনফুট পাথর, ৩টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১১টি ট্রাক, ৮টি পিকআপ, ৬টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১টি কাভার্ড ভ্যান, ১টি বাস, ৩টি ট্রাক্টর, ৩১টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৪৩টি মোটরসাইকেল এবং ৩২টি বাইসাইকেল।
বিজ্ঞাপন
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৩টি পিস্তল, ১টি গান, ২টি ম্যাগাজিন ও ১৩ রাউন্ড গুলি।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮ কেজি ৯৭৭ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১৪ কেজি ৮৮৯ গ্রাম হেরোইন, ১২ কেজি ৮৮৫ গ্রাম কোকেন, ১২ হাজার ৫৩২ বোতল ফেনসিডিল, ২০ হাজার ৫৭ বোতল বিদেশি মদ, ৯৮ লিটার বাংলা মদ, ৮৩১ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ১২৪ কেজি গাঁজা, ৫১ হাজার ৬৩৯টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ১ হাজার ৭৬৩ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৩৮৫ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৯টি বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ৪ হাজার পিস এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৭ বোতল এলএসডি এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৬০ অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩৪ জন চোরাচালানি এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৫৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ৪ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৩০৬ জন মায়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এমআইকে/এমএইচটি