সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কারের দাবিতে এক দফার আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এই কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপি। তারা পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আগ বাড়িয়ে পুলিশ কোনো অ্যাকশনে যাবে না। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীজুড়ে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে আছেন গোয়েন্দা সদস্যরাও।
বুধবার (১০ জুলাই) ডিএমপির বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
ইতোমধ্যে কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়ার রায়ে এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে শিক্ষার্থীদের পূর্ব ঘোষিত দিনব্যাপী বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি চলছে। শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকার বাইরেও চলছে আন্দোলন। আদালতের রায়ের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন পর্যন্ত প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশনে যায়নি। কারণ হিসেবে তারা মনে করছে, সরকারের এখনো কোনো গ্রিন সিগন্যাল নেই। সরকারও এ ব্যাপারে নমনীয়। ফলে পুলিশ প্রশাসন অনেকটা নিশ্চুপ। তবে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের অরাজকতা এবং নৈরাজ্য তৈরি হলে সেক্ষেত্রে ছাড় দেবে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কড়া কোনো নির্দেশনা আসেনি পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের কাছ থেকে।
সকালে কথা হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপস) বিপ্লব কুমার সরকারের সাথে। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করব না। এখন পর্যন্ত তাদের প্রতি আমাদের কোনো মেসেজ নেই। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা।
এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের পুলিশ সব সময় সব কাজের জন্য প্রস্তুত থাকে। আমরা কী কাজ করব না করব সেটা পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী দেখা যাবে। এজন্য আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছে। এটা পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন আছি।
বিজ্ঞাপন
এমআইকে/জেবি