বুধবার, ৮ মে, ২০২৪, ঢাকা

চা শ্রমিক: বিভীষিকার কালো গহ্বরে বন্দি যাদের জীবন

সেলিম আহমেদ
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২২, ১০:৩৬ এএম

শেয়ার করুন:

চা শ্রমিক: বিভীষিকার কালো গহ্বরে বন্দি যাদের জীবন

চা মানে সতেজতা, চা মানে দুঃখ মনে প্রশান্তির ছোঁয়া। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে মনকে চাঙ্গা করে তুলতে এক কাপ চা-ই যথেষ্ট। তাইতো ছোট-বড়, যুবক-বৃদ্ধ সব মানুষের ভালোবাসার অপর নাম এক কাপ চা। অথচ এই চা উৎপাদন করতে যারা দিনরাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করছেন তাদের জীবন বন্দি বিভীষিকাময় এক কালো গহ্বরে। মানবেতর জীবন পার করছেন তারা।

চা গাছ ছেঁটে ছেঁটে যেমন ২৬ ইঞ্চির বেশি বাড়তে দেওয়া হয় না ঠিক তেমনি নানা কৌশলে চা শ্রমিকের জীবনমানেরও তেমন একটা উন্নতি হতে দেওয়া হয় না। শত শত বছর ধরে লেবার লাইনের ২২২ বর্গফুটের কুঁড়ে ঘরে বন্দি তাদের জীবন। মধ্যযুগের ভূমিদাসের মতোই চা মালিকের বাগানের সঙ্গে বাধা তাদের নিয়তি।

আজ ঐতিহাসিক ২০ মে। চা শ্রমিক দিবস। ১৯২১ সালের এই দিনে চাঁদপুরের মেঘনা নদীর তীরের জাহাজঘাটে প্রতিবাদী শত শত চা শ্রমিককে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে ব্রিটিশ সরকার ও বাগান মালিকদের স্বার্থ রক্ষাকারী গোর্খা বাহিনী। মালিক শ্রেণির অত্যাচার নিপীড়ন আর অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে হাজার হাজার চা শ্রমিক কর্তৃক সংগঠিত ঐতিহাসিক ‘মুল্লুকে চল আন্দোলন’ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে এই বর্বর হত্যাযজ্ঞের পথ বেছে নেয় এই বাহিনী। হাজার শ্রমিকের রক্তে রঞ্জিত ঐতিহাসিক এই ‘চা শ্রমিক দিবস’ প্রতি বছর পালন করা হয়।

tea

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৮৪০ সালে কলকাতা বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে চীনা চায়ের গাছ এনে চট্টগ্রাম ক্লাবের পাশে সর্বপ্রথম রোপন করেন ইউরোপীয় ব্যবসায়ীরা। ১৮৪৩ সালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে প্রথম চা তৈরি এবং পান করা হয়। আর ১৮৫৭ সালে  বাণিজ্যিকভাবে সিলেটের মালনীছড়া চা বাগানে প্রথম চা চাষ শুরু হয়। যা পূর্ব বাংলার চা উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায়। এরপর চা চাষ শুরু হয় নিম্ন ত্রিপুরা (বর্তমান কুমিল্লা) এবং উত্তর বঙ্গের পঞ্চগড়ে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

বর্তমানে দেশে ১৬৭টি চা বাগান রয়েছে। এসব বাগানে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার। এর বাইরে প্রায় ৭-৮ লাখ মানুষ চা বাগানে বাস করে। শ্রমিকদের মধ্যে ৫২ শতাংশই নারী। পাতা বা কুঁড়ি তোলার প্রধান কাজটিই করেন নারী চা-শ্রমিকেরা। এর বাইরে নার্সারিতে চারা কলমের কাজ করেন। পুরুষ শ্রমিকরা বেশির ভাগ সময় চা বাগান পরিস্কার, বিষ ব্যবহার, চকিদারী ও চা ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন।


বিজ্ঞাপন


প্রায় ২০০ বছর ধরেই চা বাগানে বংশ পরস্পরায় কাজ করছেন চা শ্রমিকরা। তাদের শ্রমে এই শিল্পের উন্নয়ন হলেও শ্রমিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে না। দৈনিক একজন শ্রমিকের মজুরি ১২০ টাকা। আর সেই সঙ্গে সপ্তাহ শেষে তিন কেজি খাওয়ার অনুপযোগী আটা। তাও আবার ওজনে কম।

মৌলিক চাহিদা পূরণে মজুরি বৃদ্ধি, ভ‚মি অধিকার, বাসস্থান ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন দাবি চা শ্রমিকদের। স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি সরকার তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও তা আলোরমুখ দেখেনি খুব একটা।  ফলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। চা শ্রমিকরা তাদের শ্রম দিয়ে চা বাগান আগলে রাখলেও তাদের শিক্ষা ও চিকিৎসা এখন সেই অবহেলিত রয়ে গেছে। সরকার তাদের আবাস্থল নিজ নিজ মালিকানায় করে দেবে বলেও এখনো এর কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। আর এ জন্য দীর্ঘদিন ধরে ভূমি নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন চা শ্রমিকরা।

এখনো চা শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মুরইছড়া চা বাগানে শ্রমিক বর্ষা উড়াৎ। জন্মসূত্রেই এই বাগানের বাসিন্দা। তার মা-বাবাও এই বাগানের শ্রমিক ছিলেন। এখন তিনি ও তার স্বামী কাজ করেন। কেমন আছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাবুজি, সারা দিন চা তুইল্লা ১২০ টাকা মজুরি পাই। কাম না করলে মজুরি পাই না। এই ১২০ টাকায় তো এখন দুই কেজি চালও হয় না। এই টাকায় কী করে সংসার চালাই বলো?

বর্ষার মতো এই আক্ষেপ প্রতিটি চা বাগানের শ্রমিকদের। দিন দিন দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি হলেও বাড়ছে না শ্রমিকদের মজুরি। যে মজুরি পান তা দিয়ে কোনোভাবেই সংসার চালানো সম্ভব নয়। আবার অনেক বাগানে মাসের পর মাস হয় না বেতন। মজুরি বাড়ানোর জন্য শ্রমিকরা দফায় দফায় দাবি জানালেও তার তোয়াক্কাই করছেন না বাগান মালিকরা।

একাধিক চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১২০ টাকা মজুরি পেতে বাগানবেদে ২০ থেকে ২৫ কেজি চা পাতা তুলতে হয়। অতিরিক্ত পাতা তুললে অতিরিক্ত মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও অনেক বাগান মালিকরা তা দেন না। আবার কোনো শ্রমিক যদি ২০ কেজির কম পাতা তুলেন তাহলে তার মজুরি থেকে কেটে নেওয়া হয় ৭ টাকা।

tea

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৩ সালে শ্রমিকদের মজুরি ৫৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৯ টাকা করা হয়। ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৫ টাকায়। সর্বশেষ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মজুরি বাড়িয়ে ১২০ টাকা করা হয়।

চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে বাগান মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। আমরা ৩’শ টাকা মজুরি দাবি করেছি। এ নিয়ে দরকষাকষি চলছে। আশা করছি একটা সমাধান হবে।

তিনি বলেন, এছাড়াও চা শ্রমিকদের ২০ দফা দাবি মালিকপক্ষকে লিখিত দেওয়ার পর কয়েক দফা দ্বি-পক্ষীয় আলোচনা হয়েছে। কোনো দাবি মেনে তা বাস্তবায়ন করছেন না আবার কোনো দাবি মানতে তারা  কালক্ষেপণ।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য-বাসস্থান: মৌলিক চাহিদা যেখানে বিলাসিতা

চা শ্রমিকরা বঞ্চিত তাদের মৌলিক চাহিদা থেকে। কর্মস্থলে নানা সুযোগ-সুবিধা, উন্নত আবাসন ব্যবস্থা, সু-চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

সরেজমিনে বিভিন্ন বাগান ঘুরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চা বাগানে শ্রমিকদের অধিকাংশ সদস্যই কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত। রোগ বালাই যেন ওদের নিত্যসঙ্গী। চা বাগানের লেবার লাইনে গাদাগাদিভাবে বসবাস। অসচেতনতা, কাজের নোংরা পরিবেশ, পরিচ্ছন্ন পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার অভাব, মাদকাসক্ত, অপুষ্টি, নালা ও খালের পানির ব্যবহার, বাল্যবিবাহ, বেশি সন্তান নেওয়া, নিয়ন্ত্রণহীন যৌনাচারসহ অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতা কারণেই চা শ্রমিকরা মূলত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা দৈনিক যে মজুরী পান তা দিয়ে চিকিৎসা করানোতো দূরের কথা পরিবারের খরচ যোগানোই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। আর অধিকাংশ চা বাগানের নির্ধারিত কম্পাউন্ডারে (হাসপাতাল) গেলে সব রোগের ঔষধ হিসেবে দেওয়া হয় কয়েকটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেটল।

এদিকে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার জরিপে দেখা গেছে, চা বাগানে বসবাসকারী নারীদের মধ্যে ১৫ শতাংশ নারী প্রাথমিকভাবে জরায়ুমুখে ক্যান্সার ও অধিকাংশ পুরুষ যক্ষা রোগে আক্রান্ত। এছাড়াও অধিকাংশ চা শ্রমিক মেয়েরা বাল্য বিয়ের শিকার হন। বিয়ের পর মাতৃত্বকালীন সময়ে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে না পারায় নবজাতক ও মা উভয়ই স্বাস্থ্যহীনতায় ভোগেন। আবার পরিবারে জন্ম নেওয়া শিশুর প্রায়ই খর্বাকৃতির।

চা শ্রমিক নেতা বিজয় হাজরা বলেন, একজন অসুস্থ চা শ্রমিক মেডিকেলে সিক লিস্টে নাম লেখাতে গেলে দীর্ঘসময় ধরে মেডিকেলের বারান্দায় বসে অপেক্ষা করতে হয়। রোগীদের জন্য স্যালাইন, নাপা, ইসটাসিন, প্যারাসিটামল, মেট্রিক আর কুইনাইন ছাড়া এখানে আর কোনো ওষুধ পাওয়া যায় না।

অন্যদিকে শ্রম আইন অনুযায়ী, দেশের কোনো চা বাগানে ২৫ জন শিক্ষার্থী থাকলেই সেখানে বাগান কর্তৃপক্ষকে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কিন্তু এই নিয়ম মানে না অধিকাংশ বাগান মালিকরা। আবার সরকারিভাবে বিভিন্ন বাগানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও তা জনসংখ্যার অনুপাতে অপর্যাপ্ত বলে মনে করছেন চা শ্রমিক নেতারা। আবার কোনো কোনো বাগানে রয়েছে এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়ও।

চা শ্রমিক নেতারা জানান, অধিকাংশ বাগানেই প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা নেই। ফলে প্রাথমিকের পরে ঝরে পড়েন বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। মাধ্যমিক স্কুলে লেখাপড়া করার জন্য শিক্ষার্থীদের কয়েক কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। আবার অর্থসংকটসহ নানা কারণে তারা ঝরে পড়েন। তাই প্রতিটি বাগানের আশপাশে মাধ্যমিক স্কুল তৈরি করা প্রয়োজন।

tea

দুর্বার উন্নয়ন সহায়ক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয় চা ছাত্র সংসদের উপদেষ্টা রাজু দেশোয়ারা বলেন, সরকারের নানা চেষ্টায চা বাগানগুলো দিনদিন শিক্ষার হার বাড়ছে ঠিকই তবে যুগোপযোগী শিক্ষা পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় পেরুলেই ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রধানত দারিদ্র্যতার কারণে বেশিরভাগ ছেলে মেয়েকেই জীবন সংগ্রামে জড়িয়ে পড়তে হয়। এ লড়াই বেঁচে থাকার। যে সকল শিক্ষার্থী দারিদ্র্যতার সাথে পেরে উঠতে পারে তারা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজেও পড়ছে। তবে নানা প্রতিবন্ধকতায় জর্জরিত শিক্ষা জীবনে মাধ্যমিকে ভালো ফল না থাকায় অনেকেই ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারে না। এমনিভাবে উচ্চ মাধ্যমিকেও ভালো ফল না থাকায় সরকারি কলেজেও সুযোগ পায় না। ফলে যারা নিজস্ব আগ্রহে পড়তে চায় তারা ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হয়।

এই প্রতিযোগিতামূলক উচ্চশিক্ষায় এই ঝরে পড়ার হার অনেক বেশি। কারণ কলেজ পেরিয়ে অনেক যুবক-যুবতীকেই সংসারের হাল ধরতে হয় ফলে আর পড়াশোনা হয় না। যারাও অবশিষ্ট থাকে তারা সরকারি কলেজগুলোতে পড়ে। আর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সুবিধা না পাওয়া, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল না করা, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে প্রস্তুতি নিতে না পারা এ সকল নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার শিকার চা বাগানের শিক্ষার্থীরা তবুও থেমে থাকে না। তুখোড় মেধা ও প্রবল আত্মবিশ্বাসের বলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ জন চা বাগানের শিক্ষার্থী ঢাবি, জাবি, জবি, রাবি, বেরোবি, কুবি, শাবিপ্রবি, সিকৃবি, ঢাকা মেডিকেল, সিলেট মেডিকেল পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

এছাড়াও চা শ্রমিকের বঞ্চিত ভূমির অধিকার থেকে। যুগ যুগ থেকে জমিতে বাস করলেও নেই জমির মালিকানা। চা বাগান কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত এক চালা আধা কাঁচা ঘরে গবাদিপশুসহ গাদাগাদি করে থাকতে হয় তাদের। বাগানের পক্ষ থেকে বছরে একবার মেরামত সহায়তা দিলেও তা নিতান্তই অপ্রতুল।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলেন, বর্তমানে চা-শ্রমিকরা যে মজুরি পাচ্ছেন তার মিল নেই বাজার মূল্যের সঙ্গে। সব বাগানেই চায়ের উৎপাদন বেড়েছে। বাজারে চায়ের দামও বেশি। কিন্তু বাগান মালিকপক্ষ নানা অজুহাতে সঠিক মজুরি দিচ্ছেন না। মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে আমরা দফায় দফায় তাদের সঙ্গে বৈঠক চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, চা-বাগানে অর্ধেক নারী শ্রমিক হলেও নারী হিসেবে কর্মস্থলে যে সুযোগ-সুবিধা থাকার দরকার, তা তারা পাচ্ছেন না। কর্মক্ষেত্রে শৌচাগার নেই। প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে এখনো অনেকেই তেমন কিছু জানেন না। সবমিলিয়ে আরও নানা সমস্যা রয়েছে। তবে চা-বাগানে সরকারি সুবিধা অনেকটা পৌঁছেছে। আরও পৌঁছানো দরকার। 

এসএএস/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর