অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানিয়েছেন, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান তার সরকার শুরু করেছে, দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি সরকারের সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। সে দিকে ইঙ্গিত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি, সে যেই হোক দুর্নীতি করলে কারো রক্ষা নেই। যারাই দুর্নীতি করবে ধরব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জনগণ অত্যন্ত কর্মঠ ও সৃজনশীল। কিছু কিছু দুষ্ট প্রকৃতির থাকে তাদের আমরা ধর্তব্য নেই না।’
বিজ্ঞাপন
এ সময় প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদাটা, কালো টাকা সাদা না। এখন সব দেশে দাম বেড়ে গেছে। এখন এক কাঠা জমি যার আছে সেই কয়েক কোটি টাকার মালিক, ঢাকা শহরে এক কাঠা জমি থাকলে কয়েক কোটি টাকার মালিক। এভাবে অনেক সময় কিছু করতে গেলে অতিরিক্ত অর্থ চলে আসে। সেটা তারা বাজেটে দেখাতে পারেন না। সেটা তারা আয়কর দিতে পারেন না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আয়কর দিয়ে যাতে তারা মূল ইসে ফিরে আসে, মানে আয়কর দিয়ে মূল জনগোষ্ঠীতে ফিরে আসে, আর এই ধরনের কর্মকাণ্ড যাতে না করে, সেই জন্যই মাঝে মাঝে এ ধরনের সুযোগ দেওয়া হয়।’
এই সুযোগ রাজনীতিবিদদের অনেকে আগেও নিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের সুযোগ খালেদা জিয়া নিয়েছিলেন, ড. কামাল হোসেন নিয়েছিলেন এবং আরও অনেকে নিয়েছিলেন। তারাও কিন্তু এরকমভাবে সেই ২০০৭/২০০৮ বা তার পরবর্তী সময়ে এভাবে কিন্তু তারা বৈধ করে নিয়েছিলেন। এমনকি বিএনপির সাইফুর রহমানও করেছেন। এরশাদ সাহেবও বোধ হয় করেছিলেন। মনে হয়, একটু খোঁজ নিতে হবে। আমি জানি না আমাদের বিরোধী দলের নেতাও করেছিলেন কি না।’
জেবি