শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বেনজীর লিখিত জবাব দিয়েছেন, পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা: দুদক সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

বেনজীর লিখিত জবাব দিয়েছেন, পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা: দুদক সচিব
ছবি: সংগৃহীত

সময় নিয়েও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবে হাজির না হয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) লিখিত আকারে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব দিয়েছেন। কমিশন সেই চিঠি পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।

রোববার (২৩ জুন) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক সচিব এই কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


দুদক সচিব বলেন, বেনজীর আহমেদ আইনজীবীর মাধ্যমে গত ২১ জুন দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। এবারের চিঠিতে নতুন করে সময়ের আবেদন করেননি। লিখিত বক্তব্যে তার অভিযোগগুলোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

কমিশন বেনজীরের দেওয়া চিঠির বক্তব্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বলে জানান খোরশেদা ইয়াসমিন।

এদিকে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক জানিয়েছেন, বেনজীর আহমেদ উপস্থিত না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে তদন্ত দল।

আরও পড়ুন

দুদকের তলবে সময় নিয়েও হাজির হননি বেনজীর

দুদক কমিশনার বলেন, একটি চিঠির মাধ্যমে তার অবস্থান তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। চিঠিটি সংস্থার চেয়ারম্যান ও কমিশনার বরাবর দিয়েছেন। গত পরশুদিন দিয়েছেন এ চিঠি। আর সময় দেওয়া বিবেচ্য বিষয় নয়। মামলার বিষয়ে তদন্ত টিমের সুপারিশ পর্যালোচনা করবে দুদক।

রোববার (২৩ জুন) দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও বেনজীর আহমেদ হাজির হননি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দ্বিতীয়বারের মতো আজ সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল।

Benojir

জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ গত ৪ মে সপরিবারে দেশ ত্যাগ করেন। এর আগে তাকে গত ৬ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। বিদেশে অবস্থান করায় তিনি ওইদিন দুদকে হাজিন হননি। পরে তিনি সময় চেয়ে আবেদন করলে তাকে ১৬ দিনের সময় দিয়ে রোববার ডাকা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদক বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে গত ২২ এপ্রিল। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের তলবি নোটিশ পাঠায় হয় গত ২৮ মে। এর আগে গত ৪ মে তিনি সপরিবারে দেশ ত্যাগ করেন। বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে তাদের বিরুদ্ধে সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বিস্তারিত তদন্ত করেছে। এরপরই গণমাধ্যমে তাদের অস্বাভাবিক সম্পদের খবর প্রকাশ পায়।

আরও পড়ুন

বেনজীর দুর্নীতি করলে তার দায় নেবে না পুলিশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

গত ২৩ ও ২৬ মে আদালতের আদেশে বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পদ, ব্যাংক হিসাব, শেয়ারসহ অন্যান্য সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়। তাদের নামে থাকা ৮৩টি দলিলে ৬২১ বিঘা জমি, গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দ, ৩৮টি ব্যাংক হিসাব ও তাদের মালিকানার কোম্পানি ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধের ওই আদেশ দিয়েছেন। ওই দুইদিনে বেনজীর ও তার পরিবারের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৩৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর