বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সহকর্মীর গুলিতে ঝাঁঝরা পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল, শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন মা 

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

সহকর্মীর গুলিতে ঝাঁঝরা পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল, শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন মা 
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কূটনেতিক এলাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হকের শোকে কাঁদতে কাঁদতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তার মা দেলোয়ারা হক। কাঁদছেন মনিরুলের বড় ভাই আমিনুল হক মিঠু। ও মনিরুলের স্ত্রী তানিয়া আক্তার তন্বী। 

শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে বাড়িতে এসে ভিড় করেছেন প্রতিবেশী ও স্বজনরা। কারো মুখে কোনো ভাষা নেই। অনেকের চোখে পানি।


বিজ্ঞাপন


মনিরুলের স্ত্রী তন্বী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার স্বামীকে যে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে আমি তার সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি। তার বিচার হলে আমার আত্মা শান্তি পাবে। আমি আর কোনোকিছু চাই না। আমার একটাই দাবি, আমার স্বামীকে যতটুকু কষ্ট দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, ততটুকু কষ্ট দিয়ে ওর বিচার করা হক। আমি আর কিছু চাই না।’

প্রতিবেশী আজহারুল ইসলাম তুহিন বলেন, মনিরুল সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করতেন। তিনি খুবই মিশুক ধরনের ছিলেন। পরিচিত ও বন্ধু-বান্ধবসহ সবার সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। সবার প্রিয় এই মানুষটির এভাবে মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না।

আব্দুর রহমান বলেন, আমরা মনিরুলের ঘাতকের দ্রুত বিচার আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।

এর আগে শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর বারিধারার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত হন পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হক। মনিরুলের বড় ভাই মাহবুব আলম টিটুও পুলিশের একজন সদস্য। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত।


বিজ্ঞাপন


আমিনুল হক মিঠু বলেন, ২০১৪ সালে নেত্রকোণার আঞ্জুমান সরকারি উচ্চ থেকে এসএসসি পাস করেন মনিরুল। পরে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে চতুর্থ সেমিস্টার পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এর মধ্যে ২০১৬ সালের শেষের দিকে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন মনিরুল। চাকরিতে থাকা অবস্থায় তিন বছর আগে জেলার পূর্বধলা উপজেলায় বিয়ে করেন তিনি।

আটপাড়া থানার ওসি তাওহীদুর রহমান বলেন, পুলিশ মনিরুলের পরিবারের পাশে থাকবে। ঘাতকের বিচার নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করবে।

এইউ 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর