বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে কোনো সিন্ডিকেট নেই: নিজাম হাজারী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ জুন ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম

শেয়ার করুন:

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে কোনো সিন্ডিকেট নেই: নিজাম হাজারী

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো সিন্ডিকেট নেই বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী। 

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বায়রা। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।


বিজ্ঞাপন


হাজারী বলেন, সিন্ডিকেট বলে কোনো শব্দ নেই। ১০১ এজেন্সির মধ্যে সরকারও আছে। যেখানে সরকার আছে সেখানে সিন্ডিকেট নেই। মালয়েশিয়া সরকার যাদের সিলেক্ট করেছে শুধু তারাই কর্মী পাঠিয়েছে। 

এসময় তিনি অভিযোগ করেন তার ও তাদের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে ভুল সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যা ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার মতে, অন্যদের মতোই তিনিও কর্মী পাঠিয়েছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মহাসচিব বেনজীর আহমেদ, সংসদ সদস্য লে. জে (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, বায়রার সভাপতি আলী হায়দার চৌধুরী, বায়রার সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন। 

নিজাম হাজারী বলেন, বক্তব্যের প্রথমেই বলে নেই সিন্ডিকেট বলতে আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সিতে কোনো শব্দ নেই। কারণ এখানে দুই দেশের সরকার মিলেই ১৫৬০টি লাইসেন্স আমরা মালয়েশিয়াতে এপ্লাই করেছি তার মধ্যে তার মধ্যে ১০১টিকে অনুমোদন দিয়েছে। সুতরাং এটা সিন্ডিকেট আওতায় পড়ে না। 


বিজ্ঞাপন


IMG_20240604_131310

সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে লেখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কিন্তু কোনো সাংবাদিককে দায়ী করছি না। কিন্তু একটি পত্রিকায় চারজন সংসদের বিরুদ্ধে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের বিরুদ্ধে লেখা হয়েছে। একটা জিনিষ আপনাদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কিন্তু মালেয়শিয়াতে কোনোরকম লোক পাঠানো, ভিসা কেনা থেকে বিক্রি কোনো কিছুর সাথেই সম্পৃক্ত ছিলাম না। যারা ভিসা নিয়ে এসেছে আমরা শুধু প্রসেসিংটা করেছি। এটা আপনাদের জানা দরকার আমি যদি নিজের লোককে পাঠাতে চাই সেটা সম্ভব হবে না। যেহেতু এই ভিসার মালিক আমি না। 

এ সময় তিনি আরও বলেন,  ব্যক্তিগতভাবে আমি বলতে পারি মালয়েশিয়াতে কোনো লোক পাঠাইনি। আমি শুধু ওনারা এনেছে আমি সেটা প্রসেসিং করেছি। আমি মোট ৮ হাজার ৩৯৬টি প্রসেসিং করেছি। এখানে অভিবাসন ব্যয় হচ্ছে ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। 

আমি শুনেছি অনেকের কাছে চার লাখ চল্লিশ হাজার কারো কাছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।  এটা একটি দালাল শ্রেণি অথবা মধ্যস্বত্বভোগী কেউ এই টাকাটা নিয়েছে। সুতরাং যে নিয়ে থাকুক এটা আমাদের দেশের গরিব নিরীহ মানুষ তারা যাতে সেই টাকাটা ফেরত পায় এটা আমাদের বায়রা নেতৃবৃন্দ বলেছেন। যারা এই টাকা নিয়ে থাকুক আমরা তাদের কাছ থেকে আদায় করার বিষয়ে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। 

যারা মালয়েশিয়া যেতে পারেনি তাদের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় এবং দেশটির সাথে কথা বলে তারা যেন যেতে পারে এ বিষয়ের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে বলেও জানান তিনি। যারা যেতে পারেনি তাদের কিভাবে পাঠানো যায় সেটা করা হবে। মাথায় রাখতে হবে কেউ যদি চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয় তাহলে তার খরচ হয়েছে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। এই চার পাঁচ লাখ টাকা জোগাড় করতে তাকে আরও জরুরি ভিত্তিতে আরও তিন লাখ টাকা লস দিতে হয়েছে। আমরা নিজেরাও এর ভুক্তভোগী। কারণ আমরা মাঠে ময়দানে সাধারণ মানুষের সাথে মিলেমিশে কাজ করি। 

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মহাসচিব বেনজীর আহমেদ, সংসদ সদস্য লে. জে (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, বায়রার সভাপতি আলী হায়দার চৌধুরী, বায়রার সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন। 

এমআইকে/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর