সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় একটি ছাগলের ভিডিও। ১৭৫ কেজি ওজনের ছাগলটির দাম হাঁকা হয় ১৫ লাখ টাকা। পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি উচ্চতার খাসিটি বাজারে নিয়ে আসে সাদিক এগ্রো।
আলোচনার তুঙ্গে থাকা ছাগলটি দেখতে গত কয়েক দিন সাদিক এগ্রোর মোহাম্মদপুরের খামারে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়৷
বিজ্ঞাপন
ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে খাসিটি। রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার একজন ক্রেতা দাম হাঁকানো ১৫ লাখ টাকাতেই কিনে নিয়েছেন ধূসর বাদামি রঙের খাসিটি। বলা হয়, এটি বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় আকারের খাসি। এর প্রতি কেজির দাম আট হাজার টাকার বেশি পড়েছে।
আকার ও দামের কারণে সামাজিক যোগাযোগ, এমনকি গণমাধ্যমে জায়গা করে নেওয়া খাসিটি কিনতে পেরে বেজায় খুশি ক্রেতা। খাসিটি কেনার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ক্রেতা বলেন, 'স্বপ্ন ছিল এ রকম একটা খাসির। এ রকম খাসি আগে কখনো দেখিনি। এই প্রথম দেখা। এটা আমার হবে জানা ছিল না। আল্লাহ নসিবে রাখছে তাই হইছে।'
ক্রেতা জানান, এখনই খাসিটি বাড়ি নিচ্ছেন না তিনি। থামবে সাদিক এগ্রোর খামারে। আগামী ১১ জুন নিজ বাসায় নিয়ে যাবেন তিনি।
ঈদ আসতে বাকি প্রায় তিন সপ্তাহ। ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীতে বসবে হাট। হাটের ইজারা হলেও তা বসবে প্রায় দুই সপ্তাহ পর।
বিজ্ঞাপন
তার আগেই নিজেদের বিক্রি অনেকটাই শেষ করতে চায় খামারিরা। সাধারণত হাট থেকে গরু কেনা মাত্রই ক্রেতাকে নিয়ে আসতে হয়। সে দিক থেকে খানিকটা ব্যতিক্রম খামারগুলো। বিক্রির পরেও তা খামারে রাখা যায়৷ ক্রেতা তার কেনা বা বুকিং দেওয়া কোরবানি উপযোগী পশু নিতে পারেন নিজের সুবিধা মতো সময়ে। সে সুবিধাও গ্রহণ করছেন ক্রেতারা। খামারে ক্রেতা টানতে চালানো হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রচারণা।
এবারের কোরবানিকে সামনে রেখে পরপর দুটি চমক দেখিয়েছে আলোচিত এগ্রো প্রতিষ্ঠান সাদিক এগ্রো। প্রথমে তারা বাজারে আনে এক কোটি টাকার গরু। এরপরই আলোচনায় উঠে আসে একই প্রতিষ্ঠানের ১৫ লাখ টাকার খাসি।
সাদিক এগ্রোর মালিক মো. ইমরান হোসেন ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানে প্রায় সব বাজেটের ক্রেতার জন্যই কোরবানি উপযোগী পশু আছে৷
ইমরান হোসেন বলেন, 'আমার এখানে ১৫ হাজার থেকে শুরু করে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দামের ছাগল আছে।'
শুধু ছাগল নয়, দুম্বাও রয়েছে সাদিক এগ্রোর খামারে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাত সমজিদ হাউজিং এলাকার এক নম্বর সড়কে সাদিক এগ্রো খামার যেন এখন দর্শনীয় স্থান।
ক্রেতাদের পাশাপাশি দিনভর ভিড় থাকে দর্শনার্থীদের। যারা সবাই আসেন দামি দামি গরু, ছাগল ও দুম্বা দেখতে৷
সাদিক এগ্রোর মালিক জানান, তার খামারে দেড় থেকে পাঁচ লাখ টাকা দামের দুম্বা রয়েছে৷ যা এবার ঈদকে সামনে রেখে তারা বিক্রি করতে যাচ্ছেন।
কারই/জেবি

