ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে দুই দেশ একসাথে কাজ করছে এবং এ ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশকে পূর্ণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এমপি আনার হত্যা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধির জসওয়াল বলেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। বাংলাদেশ ও ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এক্ষেত্রে সমন্বয় করছে এবং এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য আদানপ্রদান করছে।
বিজ্ঞাপন
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে আমাদের দিক থেকে সরকার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহায়তা দিচ্ছে।
গত ১২ মে ঢাকা থেকে কলকাতায় যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। যদিও অনেক গণমাধ্যমে এমপি আনার ১১ মে কলকাতায় যান বলেও বলা হচ্ছে।
এমপ আনার ১৩ মে নিউটাউনের আবাসনে খুন হন। তাকে হত্যার পর লাশ গুম করতে দেহের চামড়া ছাড়িয়ে হাড়-মাংস আলাদা করে ফেলা হয়। চার টুকরো করা হয় মাথার খুলি। এরপর দেহাংশ ট্রলি ব্যাগে ভরে কলকাতা লাগোয়া বিভিন্ন জায়গায় জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। অন্যদিকে ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিআইডি।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে গ্রেফতার তিনজন হলেন— আমানুল্লা সাঈদ ওরফে শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া (৫৬), তানভীর ভুঁইয়া (৩০) ও সেলেস্টি রহমান (২২)।
আর পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি জিহাদ হাওলাদার নামের এক কসাইকে গ্রেপ্তার করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২৪ বছর বয়সী জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা। অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন তিনি।

