বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

মরদেহের টুকরোগুলো এমপি আনারের কিনা নিশ্চিত হওয়া যাবে ডিএনএ টেস্টের পর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

মরদেহের অংশগুলো এমপি আনারের কিনা জানা যাবে ডিএনএ টেস্টের পর

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম। তবে সেগুলো আনারের লাশের খণ্ডিত অংশ কিনা, তা ডিএনএ পরীক্ষার পর পুরোপুরি জানা যাবে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) ভারতের সিআইডি এ তথ্য নিশ্চিত করে। তারা জানায়, ফরেনসিক পরীক্ষার পর এগুলো আনারের মরদেহের অংশ কিনা সে বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।


বিজ্ঞাপন


এর আগে, কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা আবাসনের বিইউ-৫৬ ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংস উদ্ধার করে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি।

ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলো আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের খণ্ডিত দেহাংশের মাংস হতে পারে। তবে সেগুলোই আনারের লাশের খণ্ডিত অংশ কিনা, তা নিশ্চিত নয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আবাসনের সুয়ারেজ সিস্টেমের কর্মী সিদ্ধেশ্বর মন্ডল কলকাতার বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান, এখন পর্যন্ত ওই সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রায় ৪ কেজি ওজনের দেহাংশের মাংস উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি, যেগুলো কাঁচের জারে লবণ মিশ্রিত পানিতে রাখা ছিল।

সিদ্ধেশ্বর মন্ডল আরও বলেন, মাংসের টুকরোগুলো অনেকটা পাকোড়া'র মতো দেখতে।

এদিকে সিআইডি জানায়, মাংসের অংশগুলো কসাই জিহাদ ওয়াশরুমের কমোডে ফেলে দিয়েছিল বলে আগেই স্বীকার করেছিল। তবে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারের বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া ডিবি টিমকে কিছু জানায়নি সিআইডি।

এর আগে, কলকাতা সিআইডিকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহাংশের খোঁজে হত্যার ঘটনাস্থল সঞ্জীবা গার্ডেন্সের সেই ফ্ল্যাটের কমোড, স্যুয়ারেজ লাইন ভেঙে সার্চ করার অনুরোধ করে ঢাকার ডিবির টিম। পাশাপাশি হাতিশালা লেকও সার্চের অনুরোধ করা হয়।

তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৮ মে) সেই সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংকে অভিযান চালানো হয় এবং সুয়ারেজ লাইনের পাইপ ভাঙা হয়।

গত ১২ মে ঢাকা থেকে কলকাতায় যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ১৩ মে নিউটাউনের আবাসনে খুন হন তিনি। হত্যার পর লাশ গুম করতে দেহের চামড়া ছাড়িয়ে হাড়-মাংস আলাদা করে ফেলা হয়। চার টুকরো করা হয় মাথার খুলি। এরপর দেহাংশ ট্রলি ব্যাগে ভরে কলকাতা লাগোয়া বিভিন্ন জায়গায় জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিআইডি। 

এমআইকে/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর