ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে দুই দফা হত্যার চেষ্টা করা হয়। একটি করা হয় গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতেও। আর এ হত্যার পরিকল্পনা করেছিল মূল মাস্টার মাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন ও আমানউল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। কিন্তু বার বার তাদের পাতা ফাঁদে পা না দেওয়ায় বেঁচে যান এমপি আনার।
শনিবার (২৫ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
হারুন বলেন, তারা নির্বাচনের আগে ব্যর্থ হয়েছে। দ্বিতীয়বার চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১৭ থেকে ১৮ তারিখ সংসদ সদস্য আনোয়ারুল কলকাতায় যান। সেই সময়ে হত্যাকারীরা তাকে হত্যার উদ্দেশে কলকাতায় যায়। কিন্তু হোটেলে থাকার কারণে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তৃতীয় ধাপে তারা সফল হয়।
তিনি আরও বলেন, হত্যার আগে তাদের পরিকল্পনা ছিল এমপি আনারকে জিম্মি করা। এরপর তার আপত্তিকর ছবি তুলে দুদিন ব্ল্যাকমেইল করে হুন্ডির মাধ্যমে এবং কলকাতায় থাকা তার বন্ধুদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করা। আনার কলকাতার ভাড়া করা ওই ফ্ল্যাটে যাওয়ার পর তার মুখে চেতনানাশক ব্যবহার করায় তিনি জ্ঞান হারান। অজ্ঞান অবস্থায় আনারের আপত্তিকর ছবি তোলা হয়। কিন্তু তাদের মূল টার্গেট ছিল হত্যা করা।
ডিবি প্রধান বলেন, হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা আক্তারুজ্জামান শাহীন গত ৩০ এপ্রিল কলকাতায় তিনজনকে নিয়ে যান। সেই দলে একজন নারীও ছিলেন। কিলিং মিশন বাস্তবায়নে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে বুঝিয়ে দিয়ে শাহীন ১০ মে পর্যন্ত কলকাতায় অবস্থান করে দেশের চলে আসেন।
বিজ্ঞাপন
এমআইকে/এএস

