ঝিনাইদহ সদর এলাকার বিষ খাইয়ে কিশোর শ্যালক সাগরকে (১৪) হত্যার ঘটনায় দুলাভাই রবিউল ইসলাম (৩৪) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আদাবর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর এএসপি মাজহারুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
র্যাব জানায়, গত ২১ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না গ্রামের কাচারিপাড়ায় স্ত্রীর ওপর ক্ষোভ মেটাতে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোর শ্যালক সাগরকে কোমল পানীয়ের সাথে বিষ মিশিয়ে তা পান করানো হয়। পরে বিষয়টি পরিবার জানতে পেরে কিশোর সাগরকে তাৎক্ষণিকভাবে ঝিনাইদহ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে পরবর্তীতে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ এপ্রিল মারা যান সেই শ্যালক। এ ঘটনায় বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
তিনি জানান, রবিউল বিবাহের পর থেকে যৌতুকের জন্য তার স্ত্রীকে মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করতেন। তার চাহিদামতো যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করতো এবং দীর্ঘদিন ধরে রবিউল তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে ফেলে রেখেছিলেন। এ নিয়ে দুই পরিবারে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে রবিউল দ্বিতীয় বিয়ে করবে বললে প্রথম স্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে তীব্র মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এতে রবিউল প্রথম স্ত্রীর পরিবারকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা খুঁজতে থাকে। গত ১৯ এপ্রিল রবিউল ইসলাম তার স্ত্রীসহ শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে যান। দুইদিন পর ২১ এপ্রিল সাড়ে আটটার দিকে কিশোর শ্যালক সাগরকে নিয়ে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্থানীয় বাজার থেকে দুইটি কোমল পানীয় কিনে আনেন। এরপর পাশের একটি স্কুলের মাঠে গিয়ে সাগরকে কৌশলে তার সাথে বিষ মিশিয়ে খেতে দেন। এতে সরল বিশ্বাসে তা পান করেন সাগর। সেবনের পর সাগর অসুস্থবোধ করলে তাকে বাড়ির সামনে রেখে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যান। রবিউল তার শ্যালকের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে এলাকা থেকে পালিয়ে ঝিনাইদহ, খুলনাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এমআইকে/এএস

