সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কারাগারে কেমন আছেন পি কে হালদারের দুই বান্ধবী?

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২২, ১০:৪৫ এএম

শেয়ার করুন:

কারাগারে কেমন আছেন পি কে হালদারের দুই বান্ধবী?

একের পর এক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল অংকের টাকা লোপাটের কাজে নিজে পেছনে থেকে নিকটাত্মীয়, বন্ধু-বান্ধবীদের ব্যবহার করতেন প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার। এদের মধ্যে আলোচনায় ছিলেন তার দুই ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। নাহিদা রুনাই আর অবন্তিকা বড়াল নামের এই দুইজন ছিলেন পিকের অপকর্মের অন্যতম সহযোগী। সম্পর্ক ছিলো অনেকটা ‘স্বামী-স্ত্রীর’ মতো।

পি কে হালদারকে দিয়ে নিজেরা টাকার কুমির হলেও শেষ রক্ষা হয়নি রুনাই, অবন্তির। গত বছর ১৩ জানুয়ারি অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেফতার করে দুদক। ১৬ মার্চ ধরা পড়েন নাহিদা রুনাই। 


বিজ্ঞাপন


হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার ও দেশের আর্থিক কেলেঙ্কারির অন্যতম হোতা পি কে হালদার যখন পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার তখন বাংলাদেশের কারাগারে দিন কাটছে ঘনিষ্ঠ দুই বান্ধবীর। 

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুজনকে রিমান্ড শেষে পাঠানো হয় কারাগারে। তারা দুজনই এখন গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বন্দি। রাখা হয়েছে আলাদা সেলে।

তবে শারীরিকভাবে তারা দুজন ভালো আছেন বলে কারাগার সূত্র বলছে। আশপাশের অন্য বন্দিদের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটে তাদের।

এদিকে পি কে হালদারের বান্ধবীর বহরও ছিলো অনেক বড়। শোনা যায় তার ৭০ থেকে ৮০ জন বান্ধবী ছিলো। তবে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন অবন্তিকা বড়াল ও নাহিদা রুনাই। আর্থিক অনিয়মের অন্যতম সহযোগী হওয়ায় পিকে হালদার তাদের আলাদা গুরুত্ব দিতেন।  


বিজ্ঞাপন


এ দুজনকে নিয়ে পি কে হালদার পৃথক পৃথক ২০ থেকে ২৫ বার সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে প্রমোদ ভ্রমণ করেছেন বলে জানা গেছে। 

জানা যায়, বান্ধবীদের মধ্যে নাহিদা রুনাই ছিলেন সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর। তার ক্ষমতার উৎস ছিলেন পি কে হালদার। যার বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৭২ কোটির টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। 

সবাই রুনাইকে বড় আপা এবং অবন্তিকাকে ছোট আপা বলে ডাকতেন। কারণ রুনাই চালাতেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, আর অবন্তিকা চালাতেন পিপলস লিজিং।

শনিবার (১৪ মে) প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে পলাতক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার ওরফে পিকে হালদারকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার করা হয়। ইতোমধ্যে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। 

প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে পি কে হালদারকে গ্রেফতারের পর আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করা হয়।

ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে আদালতে তোলে ইডি।

এক বিবৃতিতে ইডি বলেছে, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। পিকে হালদার সেখানকার নাগরিকত্বও নিয়েছিলেন। 

বিইউ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর