তীব্র যানজট ও ভ্যাপসা গরমে একটু স্বস্তি পেতে চাপ বাড়ছে মেট্রোরেলে। সাধারণত অন্যান্য দিনে মেট্রোরেলে দুপুরের দিকে চাপ কম থাকে। সকালে ও বিকেলে পিক আওয়ারে যাত্রীচাপ থাকে বেশি। কিন্তু আজ দুপুরে মেট্রোতে ভিন্ন চেহারা দেখা গেছে। ভর দুপুরেই মেট্রোরেলে যেন তিল ধারনের ঠাঁই নেই। যাত্রীরা বলছেন, ভ্যাপসা গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে স্বল্প দূরত্বের পথও মেট্রোরেলে যাচ্ছেন তারা।
রোববার (৫ মে) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল, প্রেসক্লাব, কারওয়ান বাজার স্টেশনে দেখা যায় উপচে পড়া যাত্রীর ভিড়। অন্যান্য দিনে এই সময় ভিড় না থাকলেও আজকে ট্রেনে ওঠাই কষ্ট হচ্ছে যাত্রীদের। টিকিট কাউন্টারগুলোতে সারিবদ্ধভাবে যাত্রীরা টিকিট কাটছেন। কোচগুলো যাত্রীতে ঠাঁসা।
বিজ্ঞাপন
যাত্রীরা বলছেন, মেট্রো কোচে যানজটমুক্ত যাত্রার সঙ্গে এসির ঠান্ডা বাতাস থাকায় ভ্রমণ অনেক আরামদায়ক। তাই গরমে ভিড় বেড়েছে মেট্রোতে।
মতিঝিল থেকে কারওয়ান বাজারগামী যাত্রী রাজিব বলেন, আমি নিয়মিত এই সময় যাতায়াত করি। এই সময় সাধারণত ফাঁকা থাকে। আজ কেন এত ভিড় বুঝতেছি না।
বিজ্ঞাপন
উত্তরাগামী আরেক যাত্রী বলেন, বাসে গরমের জন্য যেতে পারছি না। তাছাড়া গরমের কারণে অসুস্থ বোধ করছি। বাসে গেলে দেরি হয়। এখানে দ্রুত যাওয়া যাবে আবার এসিতে বসে যাওয়া যাবে। আরামে যাওয়া যাবে।
মেট্রোরেল বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলছে। যার কারণে এ রুটের বাসগুলোতে তুলনামূলক যাত্রী কম। বাস চালকরা বলছেন, তীব্র তাপদাহের কারণে যাত্রীরা বাসে উঠছেন কম। এতে তাদের আয় কমে গেছে।
বাস চালক শহিদুল বলেন, এখন যাত্রী কমে গেছে। মানুষ মেট্রোতেই যাচ্ছে বেশি। আগে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা ভাড়া হতো, এখন হয় ৫ হাজার টাকা। যাত্রীরা বাসে বেশি ওঠে না। মতিঝিল এসে অনেকেই নেমে যান। তখন দেখা যায় যে অনেকেই মেট্রোতে চলে যান।
টিএই/এমএইচএম