রাজধানীতে তাপমাত্রা খুব একটা না বাড়লেও বেড়েছে গরমের অনুভূতি। আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েদার ডটকমের তথ্য বলছে, রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি হলেও অনুভূত হচ্ছে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা৷এরমধ্যে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না নগরবাসী। ফলে দুপুরের খাবার সাজিয়ে বসে থাকা রেস্তোরাঁগুলোতে ক্রেতা সংকট চরমে পৌঁছেছে।
শীতকে টেক্কা দেওয়ার নানা উপায় থাকলেও চলমান তাপপ্রবাহের কাছে পরাজিত দেশবাসী। প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাসের শহর রাজধানী ঢাকা যেনো সেই তাপে একটু বেশিই উত্তপ্ত।
রোববার সকালে রাজধানীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানমুখী কিছু মানুষের দেখা মিলেছে। তবে সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই সড়ক থেকে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে৷মানুষের আগাগোনা কমেছে দোকানপাট, রেস্তোরাঁ, বিপনি-বিতানে৷এতে ক্ষতির মুখোমুখি ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন
মুঘল ইম্পায়ার মোহাম্মদপুর শাখার ক্যাসিয়ার আশিকুর রহমানের কাছে বর্তমান ক্রেতা সমাগমের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, দিনে কাস্টমার কম। বাইরে অনেক গরম। কাস্টমার কমই আসছে।
বিজ্ঞাপন
সন্ধ্যায় বা রাতে যে ক্রেতারা আসছেন, তাতে দিনের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না বলেও জানান এই কর্মী। তিনি বলেন, এখন আমাদের লস হচ্ছে।
একই চিত্র মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোড, তাজমহল রোড ও আদাবরের রিংরোড এলাকার রেস্তোরাঁগুলোতেও।
আরও পড়ুন
রিংরোডের থাই কিং চা নামের একটি জুসবারের কর্মী মো. জুম্মন ঢাকা মেইলকে বলেন, দিনে প্রচন্ড গরম। এই সময় ঠান্ডা জুস বেশি বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু গরমের কারণে মানুষ বাইরেই আসে না। লোক না থাকলে বিক্রি করব কার কাছে?
সন্ধ্যার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়ে তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর কিছু কাস্টমার হয়। কিন্তু তাও বেশি না। এমন না যে, কাস্টমার এসে ফিরে যাচ্ছে। কাস্টমারই পাচ্ছি না। গরমে মানুষই আসে না। যারা নিয়মিত কাস্টমার, তারাই আসছে।
মোহাম্মদপুরের মতো একই অবস্থা ধানমন্ডি, মিরপুর এলাকায়। সকাল থেকে রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও তাতে ভিড় নেই।
কারই/এমএইচএম