শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

পি কে হালদারের অবৈধ সম্পদ খুঁজতে পশ্চিমবঙ্গে অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২২, ১০:৫৫ পিএম

শেয়ার করুন:

পি কে হালদারের অবৈধ সম্পদ খুঁজতে পশ্চিমবঙ্গে অভিযান
ছবি: সংগৃহীত

বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের অবৈধ সম্পদের সন্ধানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালানো হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ মে) দেশটির উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বেশ কয়েকটি বাসায় ওই অভিযান চালানো হয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি এলাকাতেও এই অভিযান চালানো হয় বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।


বিজ্ঞাপন


পৃথক এসব অভিযানে পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা, পৃতিশ কুমার হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার ছাড়াও তাদের সহযোগীদের নামে থাকা বাড়ি ও সম্পত্তিতে হানা দিয়েছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি) বিভাগ।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইডি জানিয়েছে, তাদের সবাইকে বাংলাদেশি নাগরিক উল্লেখ করে তাদের নামে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট বিভাগ।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য প্রিন্ট পিটিআইর বরাতে লিখেছে, ইডি নিশ্চিত হয়েছে এসব বাংলাদেশি ভুয়া পরিচয় দিয়ে ভারতে কোম্পানিও খুলেছে এবং কলকাতার অভিজাত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সম্পত্তি কিনেছে।

এদিকে, ভারতে ইডির অভিযানে নজর রেখেছে দমন কমিশন (দুদক)। পশ্চিমবঙ্গে সুকুরমার মৃধার অবৈধ সম্পদের খোঁজে দেশটির সরকারি তদন্ত সংস্থার অভিযানের খবর আসার পর এ বিষয়ে নজর রাখছে দুর্নীতি প্রতিরোধকারী প্রতিষ্ঠানটি।


বিজ্ঞাপন


এ বিষয়ে কমিশনের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘বিষয়টির ওপর আমরা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছি, আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’

খুরশীদ আলম খান বলেন, এই অভিযানে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ যদি পাওয়া যায় এবং ভারত সরকার তা নিশ্চিত করে, তাহলে সেসব অর্থ বাংলাদেশের আদালতের মাধ্যমে জব্দ হবে এবং তা বাংলাদেশে ফিরে আনার আইনি সুযোগ আছে।’

তবে দুদকের কোনো অভিযোগ বা আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডি এ অভিযান করছে কি না তা নিশ্চিত করতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ৩৪টি মামলা করেছে দুদক। এগুলোর মধ্যে একটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিলও করেছে দুদক। সেই সঙ্গে আরও তিনটি অভিযোগপত্র কমিশনের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।

মামলায় আসামিদের মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১১ জন আসামি আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি ৬৪ জনের বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আদালতে।

এছাড়া এখন পর্যন্ত আলোচিত এই অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পি কে হালদারের ৮৩ সহযোগীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা মূল্যের জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাটসহ অন্যান্য স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে।

/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর