সোমবার, ৬ মে, ২০২৪, ঢাকা

ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরেছে ৩৬৭ প্রাণ: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

ঈদযাত্রায় সড়কে ঝরেছে ৩৬৭ প্রাণ: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

গতবারের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি দুটোই বেড়েছে বলে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। গত ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় সড়কে ৩৫৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৩৬৭ জন নিহত এবং দেড় হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। যেখানে গত বছর ঈদুল ফিতরে একই সময়ে ২৪০টি দুর্ঘটনায় ২৮৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।


বিজ্ঞাপন


প্রতিবেদনে বলা হয়, গতবার ঈদের আগে–পরে ১৫ দিন দৈনিক গড়ে ১৭ দশমিক ১৪টি দুর্ঘটনায় ২০ দশমিক ৩৫ জন নিহত হন। এ বছর ঈদযাত্রায় প্রতিদিন গড়ে ২৩ দশমিক ৮৬টি দুর্ঘটনায় ২৪ দশমিক ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এ হিসাবে এ বছর দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩৯ দশমিক ২০ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ২০ দশমিক ১৯ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংখ্যা ৪৯৩ জন। শুধু ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালেই (পঙ্গু হাসপাতালে) ঈদের তিন দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪৫৪ জন, যার অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এই বাস্তবতায় ১৫ দিনে সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে আহত মানুষের সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি হবে। নিহতের মধ্যে নারী ৬৩, শিশু ৭৪।

দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনের তথ্য তুলে ধরা বলা হয়, ১৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৫৬ হয়েছেন জন, যা মোট নিহতের ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৫১ দশমিক ১১ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৬৮ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪১ জন, অর্থাৎ ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এই সময়ে ৩টি নৌ–দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছেন। ১৪টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৫৬ জন (৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ), বাস যাত্রী ১৮ জন (৪ দশমিক ৯০ শতাংশ), ট্রাক–পিকআপ–কাভার্ডভ্যান–ট্রাক্টর আরোহী ২৬ জন (৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ)।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, অতিরিক্ত গতির কারণে সবগুলো দুর্ঘটনা ঘটেছে। দেশের সড়ক অবকাঠামোর নকশাগত ত্রুটির কারণে মহাসড়কে স্বল্পগতির থ্রি–হুইলার চলাচল যেহেতু বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না, সেহেতু মহাসড়কে কিছু দূর পরপর ফিতা টাঙিয়ে হলেও অস্থায়ীভাবে সার্ভিস রোড করে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়ানো; চালকদের বেতন–কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা; বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; পরিবহন মালিক–শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করাসহ কিছু পরামর্শ দিয়েছে রোডে সেফটি ফাউন্ডেশন।

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর