সাংবাদিকদের বঙ্গবন্ধু খুবই ভালোবাসতেন, তারা বঙ্গবন্ধুর কাছে খুবই সম্মানিত ও প্রিয়জন ছিলেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউস কনফারেন্স রুমে জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের প্রতি তাঁর ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ দেশ স্বাধীনের পরপরই বাংলাদেশের সংবিধান রচনার ১৪ মাস পর সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য ১৯৭৪ সালে প্রেস কাউন্সিল আইন পাস করেন। এটি ছিল দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম প্রেস কাউন্সিল। এজন্য আমরা বাংলাদেশিরা গর্ববোধ করি।
প্রেস কাউন্সিলের জুডিশিয়াল ক্ষমতা বাড়িয়ে যুগোপযোগী করে সংশোধনসহ নতুন আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়ে বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, এ আইনে সাংবিদকদের বিরুদ্ধে প্রেস কাউন্সিলে আনীত কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাজা তিরস্কারের পাশাপাশি অর্থ জরিমানা আদায় করতে পারবে কাউন্সিল। তবে কোনো সাংবাদিককে কারাভোগের মতো সাজা দিতে পারবে না।
এ আইন অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলে তিনি জানান। এতে বিচার প্রার্থীর প্রেস কাউন্সিলের বিচারের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে, সম্প্রতি প্রেস কউন্সিলে মামলার সংখ্যাও বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
নিজামুল হক বলেন, সাংবাদিকরা সবসময় দেশ এবং সমাজের কল্যাণে কাজ করে থাকেন। আর প্রেস কাউন্সিল সবসময়ই সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়ন কাজ করে আসছে। এসব কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতার জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সিলেট জেলা প্রশাসনের সহ্যোগিতায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী সেশনে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসাইন আল জুনায়েদ। এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব (অতিরিক্ত সচিব) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) সম্রাট তালুকদার।
জেবি