মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

পচা টমেটো ও গাজরের সস যেত নামিদামি হোটেলে, কারখানা সিলগালা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৬ এএম

শেয়ার করুন:

পচা টমেটো ও গাজরের সস যেত নামিদামি হোটেলে, কারখানা সিলগালা

পচা গাজর, টমেটো, তেঁতুল ও জলপাই দিয়ে তৈরি হচ্ছিল সস। আর সেই সস মজুত করা হতো প্লাস্টিকের নোংরা ড্রামে। এরপর এগুলো বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সরবরাহ করা হতো।

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ভেজাল সস তৈরির এমনই একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। কারখানাটির নাম ‘ফারজানা ফুড প্রোডাক্টস’। পরে কারখানাটির মালিক মো. ফরিদ হোসেন বেল্লালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিলগালা করা হয়েছে কারখানাটি। অভিযানে বিপুল ভেজাল সসও জব্দ করা হয়।


বিজ্ঞাপন


গ্রেফতার ব্যক্তির নাম বেল্লাল ফারজানা ফুড প্রোডাক্টসের স্বত্বাধিকারী ও কারখানা মালিক। অভিযানে ৫০০ কেজি অর্ধপচা গাজর, ২০০ কেজি অর্ধপচা জলপাই ও ১০০ কেজি প্রস্তুতকৃত ভেজাল সস উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ বলছে, বাড়িটির আন্ডারগ্রাউন্ড, প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় কারখানা খুলে তৈরি করা হচ্ছিল ভেজাল গাজর, টমেটো, তেঁতুল ও জলপাই সস।

লালবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইমরান হোসেন মোল্লা জানান, কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে এসব ভেজাল সস উৎপাদন ও বিক্রি করে আসছিল। উৎপাদনকৃত এসব ভেজাল সস রাজধানী ঢাকার নামিদামি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে পরিবেশন করা হতো। কোনো ধরণের স্বাস্থ্যবিধি ও খাদ্য নিরাপত্তা গাইডলাইন ছাড়াই নোংরা পরিবেশে এসব সস তৈরি হতো পচা গাজর, টমেটো, তেঁতুল ও জলপাই দিয়ে। তৈরিকৃত সস মজুদ করা হতো প্লাস্টিকের নোংরা ড্রামে।

ইমরান হোসেন মোল্লা আরও জানান, অভিযানে ভেজাল কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কামরাঙ্গীরচর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, যেকোনো ভেজাল পণ্যদ্রব্য উৎপাদনকারী কারখানায় এমন বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে। দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এমআইকে/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর