৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ নিয়ে ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’কে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। দুই জলদস্যুর বরাত দিয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আজ রোববারই সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পায় এমভি আব্দুল্লাহ এবং জাহাজ থাকা ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক।
বিজ্ঞাপন
আবদিরাশিদ ইউসুফ নামে এক জলদস্যু রয়টার্সকে বলেন, আমাদের কাছে দুই রাত আগেই মুক্তিপণের অর্থ এসেছে। সেগুলো জাল কি না তা পরীক্ষা করে দেখেছি। তারপর আমরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে সরকারি বাহিনীকে এড়িয়ে চলে যাই।
সব নাবিকসহ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান জলদস্যু আবদিরাশিদ ইউসুফ।
রয়টার্স ছাড়াও সোমালিয়ার গণমাধ্যম দ্য ডেইলি সোমালিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে একই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তবে এ বিষয়ে সোমালিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ডেইলি সোমালিয়া ওই পোস্টে জানায়, মার্চে ভারত মহাসাগরে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর মুক্তি জন্য জলদস্যুরা ৫০ লাখ ডলার নিয়েছে বলে জানা গেছে।
#BREAKING: Pirates who seized the Bangladeshi-flagged vessel "MV Abdullah" in the Indian Ocean near #Somalia in March have reportedly been paid $5 million for the ship's release. Reports indicate that some of the pirates have fled to the onshore, where #Puntland forces are… https://t.co/L69zjk4Hfk pic.twitter.com/GatrXHbcej
— The Daily Somalia (@TheDailySomalia) April 13, 2024
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশের কবির গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিল জাহাজটি। জিম্মি ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি।
অস্ত্রের মুখে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। সেখানে পৌঁছানোর পর বারবার জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করা হয়। ছিনতাইয়ের ৯ দিনের মাথায় জলদস্যুদের সাথে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় জাহাজের মালিকপক্ষের।