ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সড়ক, রেল এবং নৌ-মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার অধিক টাকা নিলে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) ডিএমপি সদর দফতরে পরিবহন মালিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সড়ক, রেল এবং নৌ-মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার অধিক টাকা নিলে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া কাউন্টার ব্যতীত অন্য কোথাও টিকিট বিক্রি হলে বিক্রয়কারীদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, লাইসেন্সবিহীন যেন কেউ ড্রাইভ না করতে পারে সেটা নিয়ে মালিক সমিতির কর্মকর্তারা কথা বলেছেন। আমি অনুরোধ করব কোনো দুর্ঘটনাবিহীন ঈদ করতে এ বিষয়ে আমাদের কর্মকর্তারা যারা যেখানে আছেন তারা ব্যবস্থা নেবেন। অতীতে তাকালে দেখি অধিক গতি, ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন, ড্রাইভিং লাইন্সেন্স ও মূল ড্রাইভার না থাকার পর হেল্পার ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দিয়ে গাড়ি চালানো হয়, এ বিষয়ে আমি সবাইকে নির্দেশনা দিচ্ছি।
ঈদে ঢাকায় যানজট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা প্রবেশ ও বহিঃগমনের জন্য ১১টি পথ রয়েছে। পথগুলোতে যেন আলাদাভাবে সবাই সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মিটিং করেন, সিদ্ধান্ত নিয়ে সমন্বয় করেন। প্রয়োজনে হোটাস অ্যাপ গ্রুপ চালু করেন। নিজেদের প্রোগ্রাম শেয়ার করেন।
বিজ্ঞাপন
কমিশনার আরও বলেন, ঢাকার সাথে পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার সাথে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয় খুব দরকার। এজন্য আমি অনুরোধ করব আমাদের ট্রাফিকের এবং ক্রাইমের ডিসিরা জেলার সীমান্তের যে ইউনিট আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে যে ম্যানেজমেন্টগুলো আছে সেগুলোতে যেন ঠিকঠাকভাবে করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পরিবহন মালিকরা একমত হয়েছেন কোনো অবস্থাতেই ফিটনেটবিহীন গাড়ি রাস্তায় আসবে না। এরপরেও পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া আছে যেনো কোনোভাবেই এসব গাড়ি রাস্তায় চলতে না দেয়। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ঢাকার পার্শবর্তী এলাকায় এ গাড়ি না আটকানো হলে ঢাকায় এসে এগুলো যানজট সৃষ্টি করবে। এজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে পার্শ্ববর্তী ইউনিটে যে কর্মকর্তা আছে তাদের চেস্টা থাকবে এসব যেন ঢাকায় না ঢুকতে পারে।
এমআইকে/এমএইচএম