শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ঢাকা

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নিষেধাজ্ঞাকালে ইলিশ না ধরার বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম

শেয়ার করুন:

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নিষেধাজ্ঞাকালে ইলিশ না ধরার বার্তা

জাটকা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মাছ না করতে বার্তা দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়। এ উপলক্ষ্য মেঘনা নদীতে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য নৌ র‌্যালির। 

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে এই বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান৷ 


বিজ্ঞাপন


চাঁদপুরের মোলহেডে ঘাট থেকে এই নৌ র‍্যালি শুরু হয়। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এই র‍্যালিতে আরও যোগ দেন চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ড. দীপু মনিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। 

'ইলিশ হলো মাছের রাজা, জাটকা ধরলে হবে সাজা' এ শ্লোগানে মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে র‍্যালির আয়োজন করে মৎস্য অধিদফতর।

1710153882809

র‍্যালিতে অংশ নেয় চাঁদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। 


বিজ্ঞাপন


নিষেধাজ্ঞাকালে মাছ না ধরার এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে র‍্যালিতে যোগ দেন জেলেদের একাংশ। এ সময় তাদের কেউ ব্যান্ড পার্টি, কেউ বাদ্যবাজনা, কেউবা মাইক নিয়ে উল্লাস করেন। জেলেদের এই আনন্দ আয়োজনে র‍্যালিতে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়৷ মেঘনার বুকে দেখা মেলে সুসজ্জিত বেশ কিছু জেলে নৌকা। 

আরও পড়ুন

শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে হলে আ.লীগকে সুসংগঠিতভাবে বাঁচতে হবে: আব্দুর রহমান

মেঘনা নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকা ঘুরে আবারও মোলহেডে এসে র‍্যালিটি শেষ হয়।  

র‍্যালিপূর্ব এক সমাবেশে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। 

মন্ত্রী জানান, মাছ ধরা বন্ধের মৌসুমে জেলেরা ভিজিএফ কর্মসূচির অধীনে ৪০ কেজি হারে চাল পান। যা তাদের জন্য 'অপ্রতুল' বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী নিজেই।

তিনি আরও জানান, তিনি এবং চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ড. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে চালের পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করবেন।

thumbnail_1710153882792

আবদুর রহমান বলেন, পাগলেও তো নিজের বুঝ বোঝে। কারেন্টের জাল দিয়ে সবেমাত্র ভূমিষ্ট হওয়া মাছ যদি ধরেন, তাহলে বড় মাছ আমরা চোখে দেখব না। এই কারেন্ট জালের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। এই কারেন্ট জাল সমূলে উৎপাটন হওয়া দরকার। ওই কারেন্টের জাল যেখান থেকে তৈরি হয়, ওই খোয়ারকে ভেঙেচুরে চুরমার করতে হবে৷ এটা প্রশাসনকেই করতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুর পদ্মা-মেঘানার ৬০ কিলোমিটার এলাকাকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার। এই দুই মাসের মধ্যে কোনো প্রকার মাছ ধরা নিষেধ। আইন অমান্য করে কেউ মাছ ধরলে আইনগত ব্যবস্থা হিসেবে জেল, জাল পুড়িয়ে দেওয়া ও ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে।

চলতি বছর জাটকা রক্ষায় ১১ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়। 

কারই/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর