রোববার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

সাঁড়াশি অভিযানে ‘বাড়াবাড়ি’ দেখছেন রেস্টুরেন্ট মালিকরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০২৪, ০১:৩৬ পিএম

শেয়ার করুন:

সাঁড়াশি অভিযানে ‘বাড়াবাড়ি’ দেখছেন রেস্টুরেন্ট মালিকরা

বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর রাজধানীর রেস্টুরেন্টগুলোতে রাজউক, সিটি করপোরেশন, পুলিশ, র্যাবের অভিযানকে বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তবে রেস্তোরাঁ মালিকরা এমন অভিযোগ করলেও ব্যাঙের ছাতার মতো রেস্টুরেন্ট গজিয়ে ওঠা বন্ধে গাইডলাইন চান তারা।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর বিজয়নগরে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান এমনটা বলেছেন।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

বেইলি রোডে রাজউকের হানা, নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁ সিলগালা

সাম্প্রতিক বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে রেস্তোরাঁ শিল্পের সংকটের উত্তরণের উপায় এবং আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করা নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

সংগঠনটির মহাসচিব বলেন, একাধিক সংস্থা থেকে রেস্টুরেন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।  আনসার-পুলিশ ও এলিট ফোর্স র‍্যাব বাহিনী তাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট। এটা হয়তো একটু বাড়াবাড়ি। কেননা নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে সরকার একটি কর্তৃপক্ষই গঠন করেছেন। তাদেরকেই কাজটি করতে দিতে হবে। 

420663348_283080574665539_673481982656452849_n


বিজ্ঞাপন


বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় কেউ এড়াতে পারে না এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো ভবনটাই ছিল অনিয়মে ভরা, ভবনটির অনুমোদন দিয়েছে রাজউক। রেস্তোরাঁ সেক্টরটি তদারকি করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতর, সিটি করপোরেশন, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর। এছাড়া সংযুক্ত আছেন জেলা প্রশাসক-প্রশাসনসহ অনেক অধিদফতর ও সংস্থা। 

আরও পড়ুন

ধানমন্ডির টুইন পিক ভবনের রুফটপ রেস্তোরাঁ ভেঙে দিলো রাজউক

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় ৪৬ জনের প্রাণহানির পর রাজউক ও সিভিল ডিফেন্সের টনক নড়েছে। ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকা শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডার জব্দ করছে এবং স্টাফদের আটক করছে। এটি সমস্যার সমাধান নয়। 

তিতাস গ্যাসের পর্যাপ্ততা নেই এমন দাবি করে এই রেস্তোরাঁ মালিক বলেন, কখনও লাইন সংযোগ থাকলেও লাইনে গ্যাস নেই। এখন বিকল্প ব্যবস্থা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার বা লাকড়ি ব্যবহার। লাকড়ি ব্যবহার করলে কিচেনসহ পুরো রেস্টুরেন্ট কালো হয়ে যায়, পরিবেশ ঠিক থাকে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি টাস্কফোর্স গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। ভবিষ্যতের জন্য নির্দিষ্ট একটি গাইডলাইন তৈরি করতে হবে যাতে ব্যাঙের ছাতার মতো রেস্তোরাঁ গজিয়ে উঠতে না পারে।

বিইউ/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর