ভাটারা, ধানমণ্ডি ও ওয়ারী এলাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা ২১ জনের মধ্যে ১৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাদের মধ্যে রেস্তোরাঁর মালিক ও কর্মচারীরা ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে মোট ৬টি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় রেস্তোরাঁয় অগ্নি বা দাহ্য বস্তুর ব্যবহার সম্পর্কে ত্রুটিপূর্ণ আচরণ বা দুষ্কর্মের সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) ২১ জনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজনের জামিন হয়েছে। বাকি ১৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান ও রকিব হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আদালত সূত্রে জানা যায়, রোববার ধানমণ্ডির সাত মসজিদ রোডের গাউসিয়ার টুইন পিক ভবনের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিগাতলার কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজায় অভিযান চালিয়ে ক্যাপিটাল লাউঞ্জ নামের একটি রেস্তোরাঁর মালিক মো. রেদুয়ান আহম্মেদসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া ধানমণ্ডির জিএইচ হাইটস ভবনের বিভিন্ন তলায় অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিগাতলা মোড় থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ভাটারার জগন্নাথপুরে বিরিয়ানির দোকানে অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে ভাটারা থানার পুলিশ। পুরান ঢাকার ওয়ারীর র্যাংকিন স্ট্রিটের একটি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের এসআই রণপ কুমার ভক্ত সংবাদমাধ্যমকে জানান, গ্রেফতার ব্যক্তিদের আজ আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। অপর দিকে আসামিপক্ষ থেকে জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ধানমণ্ডি ও ভাটারা এলাকা থেকে গ্রেফতার ১৯ জনের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে ওয়ারী এলাকা থেকে গ্রেফতার দুজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, দাহ্য বস্তুর ব্যবহার সম্পর্কে ত্রুটিপূর্ণ আচরণের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা হয়েছে। কারাগারে পাঠানো সবাই রেস্তোরাঁর মালিক ও কর্মচারী।
এর আগে ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেছেন, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দেখা গেলেই সতর্ক করা বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন রেস্তোরাঁর অনুমোদন আছে কি না, নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার হচ্ছে কি না, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটুকু, অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র এবং ঝুঁকির বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এইউ