শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ঢাকা

খিলক্ষেতে তরুণীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবক অধরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

হাত-পা বেঁধে, চোখে-মুখে সুপারগ্লু দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ!

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় ২২ বছরের তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় সানি নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার ছয়দিন পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্তকসহ জড়িতরা এখনো অধরা। মামলায় আসামিরা হলেন- তানভীর (২২), গালিফ (২২), মাহাদী (২২) ও মো. সানি। 

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীন মোহাম্মাদ জানান, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এদিকে ভুক্তভোগী তরুণী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে কিন্তু মূল আসামিসহ অন্যরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি খিলক্ষেত থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন তিনি। মামলার ছয় দিন পেরিয়ে গেছে। 

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, তিনি রাজধানীর উত্তরায় একটি শোরুমে কাজ করেন। মার্কেটে কাজ করার সময় প্রায় ছয় মাস আগে তার সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হতো। ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্য আসামি সানি ভুক্তভোগী তরুণীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য ৩ নম্বর আসামি মাহাদী গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণীকে খিলক্ষেত যেতে বলেন। মাহাদীর কথায় তরুণী খিলক্ষেত যান। পরে তাকে সেখান থেকে খিলক্ষেত থানাধীন রাজউকের মার্কেটের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন মামলার এক নম্বর আসামি তানভীর ও দুই নম্বর আসামি গালিফ। তারা মাহাদীকে বলেন- ‘তোর কাজ ছিল তরুণীকে হাজির করা, এখন তোর কাজ শেষ, তুই চলে যা।’ তখন আসামি তানভীর ও গালিফ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে জোর করে রিকশায় তুলে অপহরণ করে। তাকে খিলক্ষেত এলাকার একটি বাড়ির পঞ্চম তলা ভবনের ছাদে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য জোরাজুরি করে।

এরই এক পর্যায়ে প্রধান আসামি তানভীর ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এরপর রাত ১১টার দিকে কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে বড় বোনের বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী তরুণী। পরবর্তী সময়ে থানায় গিয়ে তিনি মামলা করেন।


বিজ্ঞাপন


এমআইকে/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর