বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

বইমেলায় মিজানুর রহমান মিথুনের ৩ বই

ফিচার প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

book

এবারের বইমেলায় মিজানুর রহমান মিথুনের ৩টি বই পাওয়া যাচ্ছে। বইগুলো হচ্ছে- ‘আমাদের পতাকা’, ‘মেঘলা আকাশ’ ও ‘ঈশপের গল্প থেকে কবিতা’। বই ৩টি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা ‘হুল্লোর’। বইগুলো প্রকাশনীর ৭৩২ নাম্বার স্টল এবং সাহস প্রকাশনার ৩১৪-৩১৫ নাম্বার স্টলে পাওয়া যাবে।

বইগুলোর প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন চিত্রশিল্পী হাসান মাহমুদ সানি।


বিজ্ঞাপন


 আমাদের পতাকা বইটি নিয়ে মিজানুর রহমান মিথুন বলেন, বইটি দৃশ্যগল্পের। যে শিশুরা কেবল পড়তে শিখেছে, অথবা পড়তে শিখছে-তাদের জন্য এ দৃশ্যগল্পের বইটি। যুক্তবর্ণ ছাড়াই বইয়ের প্রতিটি লাইন মাত্র তিনটি শব্দে ও তিনটি বর্ণে লেখা হয়েছে। সেই সঙ্গে এর প্রতিটি লাইন সর্বোচ্চ আটটি বর্ণ দিয়ে লেখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মেঘলা আকাশ ছড়ার বই। এটিও যে শিশুরা কেবল পড়তে শিখেছে কিংবা পড়তে শিখছে-তাদের জন্য। এটিও যুক্তবর্ণ ছাড়া। এ বইয়ের প্রত্যেকটি লাইন তিন শব্দে লেখা। প্রতিটি লাইন সর্বোচ্চ আটটি বর্ণ দিয়ে লেখা হয়েছে। এ বইয়ের প্রতিটি পাতায় রয়েছে সুন্দর সুন্দর ছবি।

ঈশপের গল্প থেকে কবিতা বইটি নিয়ে লেখক বলেন, ঈশপের গল্প বিশ্বব্যাপী পাঠকপ্রিয়। তার লেখা গল্পগুলো সব শ্রেণির পাঠক পছন্দ করে। বিশেষ করে ঈশপের গল্পগুলো বেশ আকর্ষণ করে। এ কথা চিন্তা করে শিশুদের জন্য ঈশপের বেশ কিছু গল্প ছড়া-কবিতায় রূপ দিয়েছি। সব শিশুই ছড়া-কবিতা পছন্দ করে। তাই ঈশপের গল্পগুলো ছন্দবদ্ধ হওয়ায় তারা আরও আগ্রহের সঙ্গে পড়বে।

মিজানুর রহমান মিথুন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ১৯৯৮ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের জাতীয় কবিতা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। এরপর থেকেই মূলত লেখালেখির শুরু। বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রশিক্ষণ কোর্স ২০১০ সালে তৃতীয় ব্যাচে লেখালেখি প্রশিক্ষণের সুযোগ লাভ করেছিলেন।


বিজ্ঞাপন


২০০৯ সালে বাংলা একাডেমির সর্বকনিষ্ঠ সদস্যপদ লাভ করেছেন। ২০২৩ সালে বাংলা একাডেমির জীবনসদস্য মনোনীত হয়েছেন। ২০১১ সালে বাংলা একাডেমির লোকজ সংস্কৃতির সংগ্রাহক নির্বাচিত হয়েছেন। মিজানুর রহমান মিথুন নিয়মিত গানও লিখছেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের একজন তালিকাভুক্ত গীতিকার।

429103137_436547022037649_2394297105756909362_n

একুশের বইমেলায় ২০১০ সালে ‘ছোটদের মেলা সেরা বই’ পুরস্কার লাভ করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের গ্রন্থাগার অধিদপ্তর থেকে ২০১৫ সালে জাতীয় শোক দিবসের রচনা লেখার জন্য জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হন। ‘ক্লাস পালানো ছেলে’ বইয়ের জন্য ‘এসবিএসপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ছায়েদুল ইসলাম গ্রন্থ স্মারক-২০২১’ লাভ করেন। ২০২৩ সালে পরিবেশ বিষয়ক স্লোগান লিখে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পুরস্কার লাভ করেন।

মিজানুর রহমান মিথুন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত ‘সাপ্লিমেন্টারি লার্নিং ম্যাটেরিয়াল’ গল্প লেখক নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তার লেখা ‘নতুন সপ্তাশ্চার্য’ বইটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যভুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এবং সাময়িকীগুলোতে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত লিখছেন। লেখালেখির স্বীকৃতি হিসেবে মিজানুর রহমান মিথুন ‘আন্তজনপদ গুণীজন স্বীকৃতি ও সংবর্ধনা’ লাভ করেছেন।

মিজানুর রহমান মিথুনের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-‘তিনি আমাদের জাতির পিতা’, ‘তোমাদের জন্য বঙ্গবন্ধু স্বপ্নজয়ী সেরা মানুষ’, ‘রাসেল তুমি ফিরে এসো’, ‘নতুন সপ্তাশ্চার্য’, ‘যুগে যুগে সপ্তাশ্চার্য’, ‘যে ভূতটা বই পড়তে এসেছিলো’, ‘ফার্স্ট গার্ল সেকেন্ড বয়’, ‘ফুল বালিকা’, ‘ট্যালেন্টপুল টমি’, ‘মিষ্টি মেয়ে টুকটুকি’, ‘বৃষ্টির সাথে দেখা’, ‘হৃদয়ে হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’, ‘ক্লাসের বাইরে একদল দুষ্টু’ ‘ব্যাক বেঞ্চার’, ‘স্কুলের সাহসী ছেলেটি’, ‘ক্লাস পালানো ছেলে’, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’, ‘টুটুল স্যারের টিউশনি’, ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প’।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর