মিশরীয় লেখক মোহসেন আল আরিশির লেখা উপন্যাস ‘কিংবদন্তি শেখ হাসিনা’র বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। চলতি সপ্তাহে অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে এটি অনূদিত উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ।
এটি একটি অনুবাদ গ্রন্থ। লেখক মোহসেন আল আরিশি যিনি একজন মিশরীয় লেখক ও সাহিত্যিক। ‘দ্য লিজেন্ড অব অ্যা ফাদার, অ্যা ডটার এন্ড দ্য হলি বন্ড’ মহাকাব্যিক উপন্যাসটির ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন মো. হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ, মো. নাজমুল ইসলাম, সায়েম খান, মো. মুশফিকুর রহমান, শামীমা নাসরিন ও হারুন অর রশীদ।
বিজ্ঞাপন
বইটির অনুবাদের সঙ্গে জড়িতরা জানান, ভাবগতভাবে ভাবতে গেলে ১৯ বার হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে থাকা শেখ হাসিনা গতকাল আর আজকের মধ্যে কী অনুভব করেছেন, নাকি পৃথিবী তাকে বার বার ধরে রেখেছে নিজের নির্মাণে। মিশরীয় লেখক মোহসেন আল আরিশি প্রাচীন সভ্যতার মানুষ তাই তিনি কদর করেছেন সভ্যতার কথা উৎস থেকে গন্তব্যের মতো।
অনুবাদকরা মনে করেন, মোট চুরাশিটি অধ্যায় উপন্যাসটির সমান্তরাল উঁচু-নিচু বর্ণনা পাঠককে নিশ্চয় মজবুত করে তুলবে তার ভাবনার জায়গায়। বিশেষত মানুষ যখন জানতে পারবে এক একটা সেকেন্ড কীভাবে মানুষের কাছে এক একটা যুগের মতো মনে হয়। পরবর্তী অপেক্ষার জন্য মানুষের চিন্তা ক্লান্ত হতে কখন উর্বর হয়ে ওঠে।
অনুবাদকদের ভাষ্য, তাৎক্ষণিক স্বতঃস্ফুর্তভাবে উচ্চারণ-ই আমাদের বলে দেয় কোরআনের কথা, মনীষীদের কথা, বহমান জনতার কথা, জীবনের কথা কখনো কোনকিছু গোপন করে নাই। কিন্তু শেখ হাসিনা নিজেকে গোপন করেছেন। কেননা তিনি প্রকাশ্যে কাঁদতে পারেন নাই। শুধু এইটুকু ছাড়া শেখ হাসিনার সবটুকুই সরল। নিজের অশ্রু গোপন করতে গিয়ে তিনি হয়ে গিয়েছেন পৃথিবীর এক পবিত্র কল্যাণ যা উত্তরাধিকার আর উত্তরণের সমন্বয়। মনীষীরা বলে থাকেন কিংবদন্তিরা সাধারণ মানুষের কল্পনার মালিক হয়ে থাকেন।
বইটিতে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে এমনভাবে খুঁজে দেখা হয়েছে যেটা অন্য কোন লেখকের লেখায় পাওয়া যায় না। গ্রন্থটিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জীবন নিয়েও এর আগে এত বিশদভাবে এবং এতো ঘনিষ্ঠতার সঙ্গে কোন উপন্যাসে বা কোন গ্রন্থে উঠে আসেনি।
বিজ্ঞাপন
গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপন্যাস থেকে একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে- ‘তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে শিখেছিলেন যে মৃত্যু মহান ব্যক্তিদের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দিতে পারে কিন্তু তাঁদের নীতি এবং ধারণাগুলি দীর্ঘজীবী হয় এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে শক্তিশালীভাবে অনুরণিত হয়। তাঁকে আরও শেখানো হয়েছিল যে তাঁর পরিবারের বাড়ির সীমানা তাঁদের দেয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ না। তিনি জানতে পেরেছিলেন যে তাঁর পরিবারের বাড়ির দেয়ালগুলি তাঁর পরিচিত বা অজানা বা নিকটতম এবং দূরবর্তী গ্রাম এবং গ্রামগুলিকে ঘিরে।" (অধ্যায় ৭, নিয়ন্ত্রণহীন গতি)।
উপন্যাসটি উৎসর্গ করা হয়েছে বাংলাদেশের জনগণকে। পাঠকরা চাইলে অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২০ নম্বর প্যাভিলিয়ন থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
বিইউ/এমআর

