রোববার, ১৬ জুন, ২০২৪, ঢাকা

প্রাণের মেলার দুয়ার খুলছে বিকেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৫ এএম

শেয়ার করুন:

প্রাণের মেলার দুয়ার খুলছে বিকেলে

বছর ঘুরে আবার এসেছে ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারি, আবার বসছে দেশের লেখক-কবি, পাঠক ও প্রকাশকদের মিলনমেলা ‘অমর একুশে বইমেলা’। ঢাকায় বাংলা একাডেমি আয়োজিত মেলাকে বলা হয় বাঙালির এক প্রাণের উৎসব। গতবারের মতো এবারও ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ (বই পড়ো, দেশ গড়ো: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ)’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে বইমেলার ৪০তম আসর। বিকেল ৩টায় মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মেলার দুয়ার খুলে দেওয়া হবে সর্বসাধারণের জন্য।

বইমেলার পাশাপাশি শুরু হচ্ছে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের আরেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা জাতীয় কবিতা উৎসব। যুদ্ধ, গণহত্যাসহ সব অন্যায়ের প্রতিবাদ জানানো হবে ৩৬তম জাতীয় কবিতা উৎসবে। বরাবরের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এই উৎসব। আজ সকালে দুই দিনব্যাপী কবিতা উৎসবের উদ্বোধন করবেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা’।


বিজ্ঞাপন


আজ‌ বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে বইমেলার উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সরকারপ্রধান বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘কালেক্টেড ওয়ার্কস অব শেখ মুজিবুর রহমান : ভলিউম-২’সহ কয়েকটি নতুন ‘গ্রন্থ উন্মোচন’ করবেন। লেখকদের হাতে তুলে দেবেন ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩’। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখবেন।

এবারের বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠান ১৭৩টি ইউনিট এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠান ৭৬৪টি ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। কয়েক বছর ধরে মেলার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছিল বিভিন্ন ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান। এবার বাংলা একাডেমি নিজেই বইমেলার সার্বিক আয়োজনের দায়িত্বে থাকছে।

বইমেলার বিন্যাসে এবার বড় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট আটটি প্রবেশ ও বাহির পথ থাকবে।


বিজ্ঞাপন


ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বইমেলা। তবে রাত সাড়ে ৮টার পর কেউ বাইরে থেকে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবে না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর শহীদ দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এ ছাড়া প্রতি শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাকবে ‘শিশুপ্রহর’। এ সময় অগ্রাধিকার থাকে অভিভাবকের সঙ্গে আশা শিশুদের।

/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর