সিলেটের গোপালগঞ্জ উপজেলার কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন এক কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট থেকে এক কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন সম্ভব বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে উৎপাদিত এই গ্যাস জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা যাবে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (২ মে) সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ জানায়, কৈলাশটিলা ৭ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভার করে লোয়ার গ্যাস স্যান্ড জোনে লগিং, পারফোরেশন ও টেস্টিং করে দৈনিক কমপক্ষে এক কোটি ৭০ থেকে ৯০ লক্ষ ঘনফুট গ্যাস এবং দৈনিক ১৮৭ ব্যারেল কনডেনসেট আবিষ্কার নিশ্চিত করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই কূপের বর্তমান জোনে বেশ কয়েক বছর গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কৈলাশটিলা ফিল্ডের লোয়ার গ্যাস স্যান্ড জোনের অবশিষ্ট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদ ৭৫৮ বিলিয়ন ঘনফুট। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট এই গ্যাস বিভিন্ন কূপের মাধ্যমে উৎপাদন করা হবে।
এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছিলেন, গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। হরিজন্টাল ও ভারটিক্যাল উভয় ভাবেই অনুসন্ধান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিপ ড্রিলিং করতে পারলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানিয়েছিলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট বিদেশি শেল অয়েল কোম্পানি’র কাছ থেকে মাত্র ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং মূল্যে যে পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড ক্রয় করেছিল তার একটি এই কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা এভাবে আজও আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তাকে সুসংহত করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডে এখন পর্যন্ত সাতটি কূপ খনন করা হয়েছে। এরমধ্যে চলমান দুটি কূপ থেকে দৈনিক দুই কোটি ৯০ লক্ষ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
টিএই/আইএইচ
