শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

তুরাগ তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

তুরাগ তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা এবারও ছয় দিনে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। তাবলিগ জামাত আয়োজিত এই সমাবেশকে সফল ও সার্থক করতে বিশ্ব ইজতমা ময়দানের প্রস্তুতির কাজ চলছে।

দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়া তাবলীগের এক গ্রুপের তিন দিনের ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আর শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি।


বিজ্ঞাপন


এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে অপর গ্রুপের দ্বিতীয় পর্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। রেওয়াজ অনুযায়ী আখেরি মোনাজাত হবে প্রতি পর্বের ইজতেমার শেষ দিনে।

এছাড়া ইজতেমা ঘিরে কয়েকস্তরে নিরাপত্তার পাশাপাশি কঠোর নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ইজতেমা ময়দানে বিপুল সংখ্যক মানুষ গাজীপুর, ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে এসে দলে দলে ভাগ হয় স্বেছাশ্রম দিচ্ছেন। নিচু জমি ভরাট, সামিয়ানা টানানো, রাস্তাঘাট মেরামত ও পয়োনিষ্কাশন কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।

তাবলিগের দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের বিশাল এই আয়োজনে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে, সেজন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইজতেমার মুরুব্বিদের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশেষভাবে তা তদারকি করা হচ্ছে। এছাড়া সুশৃঙ্খলভাবে ইজতেমার প্রস্তুতি কাজ শেষ করতে জেলা প্রশাসনেরও রয়েছে নানা উদ্যোগ।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন
৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ

কয়েক বছর থেকে তাবলিগের দুই গ্রুপ আলাদা করে একই জায়গায় ইজতেমা করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। এবারো প্রথম পর্যায়ে মাওলানা জোবায়েরপন্থী এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ভারতের মাওলানা সাদপন্থী তাবলিগ জামায়াতের সদস্যরা ইজতেমা করবেন।

দুই গ্রুপের ইজতেমায় দেশীয় মুসল্লিদের সঙে বিদেশি মুসল্লিরা এই ময়দানে সমবেত হবেন এবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহকে খুশি করার মাধ্যমে পরকালের চির শান্তির আশায়।

ইজতেমা মাঠে কাজ করতে আসা মুসল্লিরা জানান, ইজতেমা ময়দানের নিচু জমি ভরাট, বিশাল সামিয়ানা টানানো, রাস্তাঘাট মেরামত ও পয়োনিষ্কাশনের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। একইসঙ্গে চলছে ময়দানে খুঁটি পোতা, রাস্তাঘাট মেরামত ও মাঠ সমতল করার কাজ।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিপুল সংখ্যক লোকজন গাজীপুর, ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে তাবলিগ জামাতের সাথীরা ময়দানে এসে স্বেচ্ছাশ্রমে এসব কাজ করছেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান জানান, দেশ-বিদেশ থেকে ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও নাশকতারোধে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, নৌ-টহল, বিস্ফোরক দ্রব্য বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দল দায়িত্ব পালন করবে। ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তায় আকাশে র‍্যাবের হেলিকপ্টার টহল থাকবে। ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তায় পোশাকে ও সাদাপোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেম মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, এবারো ইজতেমায় আসা লাখ মুসল্লির জন্য অন্যবারের মতো আলাদা করে তৈরি করা হচ্ছে চটের ও টিনশেডের আলাদা ছাউনি। দুই গ্রুপের আলাদা সময়ে ইজতেমা সম্পন্ন করতে যাতে কোনো সমস্যায় না পড়তে হয় তা মাথায় রেখেই চলছে প্রস্তুতি কাজ। ইজতেমা শুরুর আগেই সব ধরনের প্রস্তুতি কাজ সম্পন্ন হবে।

এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর