চট্টগ্রাম জেলার ১৬ আসনে ১২টিতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী। তিনটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ও একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মাহবুব উর রহমান রুহেল ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৬৩৯ ভোট।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ১ লাখ ৬৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৬৬ ভোট।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭০ ভোট।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে নৌকার এস এম আল মামুন ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. দিদারুল কবির পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৮০ ভোট।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২৫১ ভোট।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে নৌকার প্রার্থী এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৯ ভোট।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ড. হাছান মাহমুদ ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ ইকবাল হাছান মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।
চট্টগ্রাম-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুচ ছালাম ৭৮ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫০০ ভোট।
চট্টগ্রাম-৯ আসনে নৌকা প্রতীকের মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের সানজীদ রশীদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮২ ভোট।
চট্টগ্রাম-১০ আসনে নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলম ফুলকপি প্রতীক নিয়ে ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম-১১ আসনে নৌকা প্রতীকের এম আবদুল লতিফ ৫১ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৫২৫ ভোট।
চট্টগ্রাম-১২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ১ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২৪০ ভোট।
চট্টগ্রাম-১৩ আসনে নৌকার প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আবুল হোসেন মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ১৪১ ভোট।
চট্টগ্রাম-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের নজরুল ইসলাম ৭১ হাজার ১২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরী পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৮৪ ভোট।
চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেব ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী পেয়েছেন ৩৯ হাজার ১৫২ ভোট।
চট্টগ্রাম-১৬ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান ৫৭ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ কবির লিটন পেয়েছেন ৩২ হাজার ২২০ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং দুইটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি থেকে সদ্য বহিস্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান। তিনি কলার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট। আর সংগ্রাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ঈগল পাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট। এ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোবারক হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এ. বি. তাজুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মো. আমজাদ হোসেন পেয়েছেন ২৮১৭ ভোট।
কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৭টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং ৪টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
কুমিল্লা-১ আসনে বিজয়ী মো: আবদুস সবুর (নৌকা) ১১৩৯০৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাঈম হাসান (ঈগল) ১৬৫৮০ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-২ আসনে বিজয়ী মো: আবদুল মজিদ (ট্রাক) ৪৪৪১৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিমা আহমাদ (নৌকা) ৪২৪৫৩ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৩ আসনে বিজয়ী জাহাঙ্গীর আলম (ঈগল) ৮৩৯৭১ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন (নৌকা) ৭২০১৪ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৪ আসনে বিজয়ী মো: আবুল কালাম আজাদ (ঈগল) ৯৬৮০৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজী মোহাম্মদ ফখরুল (নৌকা) ৮১২৫৭ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৫ আসনে বিজয়ী এম এ জাহের (কেটলি) ৬৫৮১০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ হোসেন (ফুলকপি) ৬১৫২২।
কুমিল্লা-৬ আসনে বিজয়ী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার (নৌকা) ১৩২২১০ ভোট ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আঞ্জুম সুলতানা (ঈগল) ৪৪৯৬৬ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৭ আসনে বিজয়ী প্রাণ গোপাল দত্ত (নৌকা) ১৭৩৬৭৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বী মো: মুনতাকিম আশরাফ (ঈগল) ১১৬৬৮ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৮ আসনে বিজয়ী আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন (নৌকা) ২০০৭২৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এইচএম এম ইরফান (লাঙ্গল) ৩৭২১ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-৯ আসনে বিজয়ী মো: তাজুল ইসলাম (নৌকা) ২৩৩৯৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: আবু বকর ছিদ্দিক (চেয়ার) ৮২৬০ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-১০ আসনে বিজয়ী আ হ ম মুস্তফা কামাল (নৌকা) ২৩২৬৯৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিসেস জোনাকী হুমায়ুন (লাঙ্গল) ৮৫৪৮ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা-১১ আসনে বিজয়ী মো: মুজিবুল হক (নৌকা) ১৮১৬৭৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: মিজানুর রহমান (ফুলকপি) ২২৭০০ ভোট পেয়েছেন।
ফেনীর তিন আসনের মধ্যে দুটি আসনে আওয়ামী লীগ ও একটিতে জাতীয় পার্টি প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে।
ফেনী-১ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। তিনি ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শাহরিয়ার ইকবাল পেয়েছেন ৪ হাজার ১৯৫ ভোট।
ফেনী-২ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী। তিনি ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী খন্দকার নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৮ ভোট।
ফেনী-৩ আসনে বেসরকারি ফলাফলে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা রহিম উল্লাহ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬২৬ ভোট।
চাঁদপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনের সবগুলো আসনেই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. সেলিম মাহমুদ পেয়েছেন এক লাখ ৫১ হাজার ৩৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ সেলিম প্রধান চেয়ার প্রতীক ৫৭৩৪ ভোট এবং জাসদের সাইফুল ইসলাম মশাল প্রতীক ৩৮৪৬ ভোট।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া পেয়েছেন এক লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৯ ভোট। তার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীক এম. ইসফাক আহসান পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৩৫ ভোট।
চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. দীপু মনি পেয়েছেন এক লাখ ৮ হাজার ১৬৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্তী ঈগল প্রতীকে ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৯৭ ভোট।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৪২৫ ভোট।
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৪ হাজার ১৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মাঈনুদ্দিন ঈগল প্রতীক পেয়েছেন ৩৮ হাজার ১৫৫ ভোট।
নোয়াখালীতে ৬টি আসনেই আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
নোয়াখালী–১ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিম। তিনি ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৯১ পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ কে এম সেলিম ভূঁইয়া ফুলের মালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৮১৯ ভোট।
নোয়াখালী-২ আসনে নৌকা প্রতীকে মোরশেদ আলম ৫৬ হাজার ৫৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক (কাঁচি) প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৩৯৯ ভোট।
নোয়াখালী-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে মামুনুর রশিদ কিরণ ৫৬ হাজার ৮৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদ (ট্রাক) প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৩১৫ ভোট।
নোয়াখালী-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী ৮৬ হাজার ৪৯৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন (ট্রাক) প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৩০৭ ভোট।
নোয়াখালী-৫ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ১৪৭টি। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বিন্দ্বী জাতীয় পার্টির খাজা তানভীর আহমেদ পেয়েছেন (লাঙ্গল) প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ৭১৯ ভোট।
নোয়াখালী-৬ আসনে ৯৬ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী (নৌকা) প্রতীকে ৮৪ হাজার ৬৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুশফিকুর রহমান (লাঙ্গল) প্রতীকে ২ হাজার ৪০৬ ভোট পেয়েছেন।
লক্ষ্মীপুরের চারটি সংসদীয় আসনে তিনটিতে নৌকার প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। একটি আসনেই কেবল স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল মার্কা) জিতেছেন।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আনোয়ার হোসেন খান ৪০ হাজার ০৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান পবন পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৫৬ ভোট।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ১ লাখ ৩০ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৯০২৮ ভোট।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু ৫২ হাজার ২৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমএ সাত্তার ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫৬২৮ ভোট।
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জয় পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৭২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে মহাজোট প্রার্থী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (ইনু) সদস্য মোশারফ হোসেন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮১০ ভোট।
কক্সবাজার-১ আসনে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম-হাতঘড়ি প্রতীকে জয় পেয়েছেন ৮১ হাজার ৯৫৫ ভোটে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম ৫২ হাজার ৮৯৬ ভোট।
কক্সবাজার-২ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক পেয়েছেন ৯৭ হাজার ৬০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএফ প্রার্থী শরীফ বাদশা নোঙর প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬১২ ভোট। সে হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন আশেক উল্লাহ রফিক।
কক্সবাজার-৩ আসনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজান সাঈদ পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৪৬ ভোট। সে হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন সাইমুম সরওয়ার কমল।
কক্সবাজার-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহীন আক্তার ১ লাখ ২২ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আর ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল বশর পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭০৭ ভোট।
রাঙামাটি আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দীপংকর তালুকদার ২,৭১৩৭৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট এর অমর কুমার দে ছড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৯৬৫ ভোট।
খাগড়াছড়ি আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং সংসদ সদস্য (এমপি) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তিনি দুই লাখ ২০ হাজার ৮শ ২৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম কেউ না থাকলেও অন্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মিথিলা রোয়াজা পেয়েছেন ১০ হাজার ৯শ ৩৮ ভোট, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী উশৈপ্রু মারমা পেয়েছেন ৯ হাজার ৫শ ২৬ ভোট।
বান্দরবান আসনে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং। তিনি ১ লাখ ৭২ হাজার ২৪০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৩ ভোট।