আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, সব জায়গায় কঠিন বার্তা দেওয়া হচ্ছে। আপনারা একটু অপেক্ষা করেন, দেখেন না। প্রার্থীদের কথা তো শুনতে হবে। ছোট অপরাধে বড় শাস্তি দেওয়া যায় না। আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে, মামলা দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
ইসি বলেন, নির্বাচনী ডামাডোল সবখানেই চলছে। সবদল নির্বাচনে এলে আরও ব্যালেন্সড ভোট হতো। এটাকে একতরফা বলা যাবে না। কেননা অনেকগুলো দল অংশ নিয়েছে। বিএনপি এলে ভালো ও ব্যালেন্সড হতো। বিএনপি না আসায় ভোট করা কিছুটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। তবে নির্বাচন একপেশে হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তিনি।
এর আগে নির্বাচনে বিশৃঙ্খলাকারীদের উদ্দেশ্য করে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেছিলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি সংযতভাবে মেনে কাজ করতে হবে। ভোটারদের জন্য আইন করা হয়েছে, তারা যেন ভয় না পায়, নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জে ৬টি আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি বলেন, ভোটাররা কোনো প্রকার বাধা ছাড়া ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারবেন। আচরণবিধির প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান কমিটি রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করছেন। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। কেউ যদি আচরণ ভঙ্গ করে তদন্ত কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে সর্বনিম্ন ২০ হাজার সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানাসহ প্রার্থিতা বাতিল করা হতে পারে। যারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি।
বিইউ/এইউ