নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোনো টানাপোড়েন নেই বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। গণমাধ্যমকে এর জন্য দায়ী করে বিদেশি দূতদের প্রশ্নবানে জর্জরিত না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
নিষেধাজ্ঞার গুঞ্জন সম্পর্কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কোনো টানাপোড়েন চলছে না, এগুলো মিডিয়াতে চলছে। আপনারা ওদের ত্যক্ত করেন। আল্লাহর ওয়াস্তে ওদের ত্যক্ত করবেন না। এটা আমাদের খুব লজ্জা লাগে। বিদেশি একজন রাষ্ট্রদূত কোথাও গেলে তার প্রাইভেসি নষ্ট করেন। আমি এটা পছন্দ করি না।’
বিজ্ঞাপন
এ সময় তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে গুজবনির্ভর সংবাদ পরিবেশনের জন্য সাংবাদিকদের সমালোচনা করে বলেন, ‘সেই ব্যটা ছুটিতে গেছে। সেখানেও আপনারা বকবক করছেন। সে আমাদের বন্ধু। বন্ধু হলে ভালো-মন্দ বলবে।’
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, বোয়িং কেনা-বেচার সঙ্গে বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া বা ভিসানীতির কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘বড় দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা সবসময় তাদের দেশের জিনিস কেনার জন্য রীতিমতো পীড়াপীড়ি করেন। এটা তাদের দায়িত্বের অংশ। আমরা এটা নিয়ে রাগ করছি না। আপনি গ্রহণ করলে ভালো, না করলেও সমস্যা নেই।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের অনুরোধকে চাপ মনে করছেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কেনাবেচাটা নরমাল প্রসেস। তারা চাপ দেয় না, অনুরোধ করে। অনুরোধকে আমরা চাপ মনে করব কেন? আমরাও তো তাদের বলি এই কর, সেই কর। এটা কি তারা চাপ মনে করে? নো। এটা সিস্টেম। অনুরোধ করে তারা, আমরা নিলে ভালো, না নিলেও ক্ষতি নেই। তারা এবার বলছে, পয়সা কমিয়ে দেবে। এটা ভালো প্রস্তাব।’
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নাগরিক পরিসর সঙ্কুচিত হওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিশ্বের ছয়টি সংগঠন। রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের (আরএফকেএইচআর) ওয়েবসাইটে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো বিরোধী দলকে হয়রানি করছি না, নির্যাতন করছি না। আমরা যারা সন্ত্রাসী, যারা মানুষের বাড়ি-ঘর জ্বালায়, জনগণের সম্পত্তি, বিশেষ করে, বাস, ট্রেন, ট্রাক জ্বালায়, যারা মানুষকে মারছে তাদের আমরা শাস্তির আওতায় নিচ্ছি। আমরা কোনো রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছি না। আমরা যাদের গ্রেফতার করছি তারা হচ্ছে সন্ত্রাসী।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রতিবেদন দেখি নাই। আপনি অন্যান্য দেশের সঙ্গে যদি তুলনা করেন, আমরা একটা আদর্শ দেশ। গাজায় কী ধরনের মানবাধিকার হচ্ছে? এমনকি অন্যান্য উন্নত দেশেও লোকজন ক্লাবে-স্কুলে মেরে ফেলে। আমাদের এখানে বিনা বিচারে কাউকে মারে না।’
জেবি