ঢাকার আশুলিয়া পলাশবাড়ী এলাকায় দুরুল হোদা (৪২) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গত ২০ নভেম্বর আশুলিয়ার পলাশবাড়ি বাতানটেক এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে দুরুল হোদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রোববার (১০ ডিসেম্বর) নওগাঁর নিয়ামতপুর থানাধীন বালাহান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মতিউর রহমান মতিন (২৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, দুরুল হুদার স্ত্রী খাতিজা (২৮) একই দিন দুপুরে পোশাক কারখানা থেকে বাসায় ফিরে নিজের স্বামীর মরদেহ দেখতে পেলে তার আর্তনাদে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এসময় দুরুল হুদার হাত-পা বাঁধা এবং মুখে স্কচটেপ দিয়ে আটকানো নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল।
বিজ্ঞাপন
নিহত দুরুল হুদা চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার উত্তর ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্ত্রীসহ ঢাকার আশুলিয়া পলাশবাড়ির বাতানটেক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি একটি কীটনাশক কারখানার প্যাকিংম্যান হিসেবে কাজ করতেন এবং তার স্ত্রী খাতিজা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
র্যাব জানায়, একই পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে গ্রেফতার মতিউর রহমান মতিনের সাথে নিহতের স্ত্রী খাতিজা খাতুনের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে দুরুল হুদা ও তার স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। পরে স্ত্রী খাতিজা খাতুন ও মতিন মিলে দুরুল হুদাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এর অংশ হিসেবে তার স্ত্রী গত ১৯ নভেম্বর রাতের খাবার শেষে দুরুল হুদাকে তার নিয়মিত ওষুধের পাশাপাশি কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন। যার তীব্র প্রতিক্রিয়ায় তিনি অচেতন হয়ে পড়লে মতিউর বাসায় প্রবেশ করেন। তবে এর আগেই দুরুল হুদাকে তার স্ত্রী খাতিজা খাতুন হাত-পা বেঁধে ও মুখ পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং মুখমণ্ডল ও মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর তাকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়।
গ্রেফতার মতিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র্যাব।
এমআইকে/জেবি

