আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনে ৩০০টি আসনে প্রার্থী হতে সর্বমোট ২ হাজার ৭১৩টি মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ১ হাজার ৯৬৬টি। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে ৭৪৭টি। ফলে দেখা যাচ্ছে মোট প্রার্থীর এক চতুর্থাংশই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়পত্র জমা করেছেন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে মোট মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে ৩০৩টি। পাঁচটি আসনে তাদের দুজন করে প্রার্থী রয়েছে। অপরদিকে জাতীয় সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টি ২৮৬টি আসনে ৩০৪টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। ১৮টি আসনে তাদের দুজন করে প্রার্থী রয়েছে।
আরও পড়ুন
অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল) ২১৮টি, তৃণমূল বিএনপি ১৫১টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি ১৪২টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১১৬টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (মশাল) ৯১টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৮২টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি) ৭৪টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফোরাম-বিএনএফ (টেলিভিশন) ৫৫টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ৪৯টি, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন-বিটিএফ (ফুলের মালা) ৪৭টি, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) ৩৯টি, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট (মোমবাতি) ৩৭টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা) ৩৪টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি) ৩৩টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।
এ ছাড়াও গণফ্রন্ট (মাছ) ২৫টি, জাতীয় পার্টি-জেপি (বাইসাইকেল) ২০টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) ১৮টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল) ১৩টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ) ১৩টি, গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর) ১২টি গণফোরাম উদীয়মান (সূর্য) ৯টি, সাম্যবাদী দল (চাকা) ছয়টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ম্যাপ (কুঁড়েঘর) ছয়টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হাত [পাঞ্জা]) পাঁচটি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন) দুটি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (খেজুর গাছ) একটি, খিলাফত মজলিস (রিকশা) একটি এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল একটি করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে বিএনপিসহ (ধানের শীষ) নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন (হাতপাখা), সিপিবি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (কোদাল), খিলাফত মজলিস (দেয়াল ঘড়ি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (সিংহ), ইনসানীয়ত বিপ্লব বাংলাদেশ (আপেল), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (মোটরগাড়ি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (গরুর গাড়ি) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্মি পার্টি বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী) নির্বাচনের অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্র থেকে সোমবার পর্যন্ত এসব মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই চলবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল চলবে ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর। সেগুলো নির্বাচন কমিশনে নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার আগে দলীয়ভাবে জানাতে হবে তাদের চূড়ান্ত প্রার্থী কারা। এরপর ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হলে জানা যাবে, কারা থাকছেন ৭ জানুয়ারি ভোটের লড়াইয়ে।
এমএইচএম