দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন কোনো হুমকি দেখছেন না বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, ‘ভোটের দিন আমরা কোনো হুমকি দেখছি না। এরপরও গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের সব জায়গায় ফিট করা আছে। তারা যে তথ্য দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সকল প্রস্তুতি নিতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও প্রস্তুত আছি।’
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পুলিশ প্রধান।
বিজ্ঞাপন
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা সিইসি মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। যখনই নির্বাচন আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাই নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে আসি। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করি। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আইন অনুযায়ী যে কাজ করার দরকার আমরা তাই করে থাকি।
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা আশা করছি, ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেশবাসীকে উপহার দিতে পারব।’
যারা চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে- তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সহিংসতা যারা করছে-তারা বাসে, গাড়িতে, ট্রেনে আগুন দিচ্ছে দিতে চাচ্ছে। অনেকে অ্যারেস্ট হচ্ছে। আমরা তৎপর আছি। আমাদের তৎপর থাকার কারণে সাধারণ মানুষ ও গাড়ি চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এরপরও যারা চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে-তাদের বিরুদ্ধে আমরা দেশের আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ উপনির্বাচনে পুলিশ-প্রশাসনের ব্যর্থতার কথা বলেছেন সিইসি। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আইজিপি বলেন, ‘উনি কী বলেছেন আমার জানা নেই। কিন্তু যেখানে যে ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, এটার বিষয়ে যদি কারও কোনো ত্রুটি বিচ্যুতি পাই, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং হবে।’
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘কেবল জাতীয় নির্বাচন নয়, ছোট নির্বাচনেও যদি কোনো আইনবহির্ভূত, বিধিবহির্ভূত যেকোনো ঘটনা সংঘটিত হয়, এর জন্য পুলিশের লোক হোক বা যেকোনো লোকই হোক তার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এমআর

