বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ভুটানে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের নির্মাণকাজ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০২:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

ভুটানে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের নির্মাণকাজ শুরু
ছবি: সংগৃহীত

হিমালয়ের লীলাভূমি ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) থিম্পুর নতুন কূটনৈতিক এলাকা হেজো-সামতেলিংয়ে ভুটান সরকারের দেওয়া জমিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

থিম্পুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভুটান ও বাংলাদেশ নিজ নিজ রাজধানীতে দু’দেশের পরস্পরের দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য জমি প্রদান করেছে। এর ধারাবাহিকতায় ভুটান সরকার থিম্পুর সুপ্রিম কোর্টের পাশে নির্ধারিত কূটনৈতিক এলাকায় বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ৫ একর জমি প্রদান করে। ওই জমিতে দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।


বিজ্ঞাপন


এতে আরও বলা হয়, ভুটান সরকার প্রদত্ত জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে দেশটির ‘বজ্র বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়।

সোমবার বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বজ্র বিল্ডার্সের সঙ্গে ভবন নির্মাণের আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে সই করেন ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায় এবং বজ্র বিল্ডার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামশো।

 

আরও পড়ুন

 

এ উপলক্ষে দূতাবাস ভবনের নির্ধারিত স্থানে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং বিশেষ প্রার্থনা ও মোনাজাতের পর আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই; দুদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

 

অনুষ্ঠানে ভুটানের পঞ্চম রাজার রয়েল চেম্বারলিন এবং চতুর্থ রাজা্র রয়েল চেম্বারলিন, পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র সচিব, ভুটানে নিযুক্ত ভারতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, ভুটানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং থিম্পু সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান সুজন দেবনাথ। 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিবনাথ রায় বলেন, থিম্পুতে বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাস ভবন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার কূটনৈতিক সুসম্পর্কের পরিচয় বহন করে।

এ ভবনের মাধ্যমে দু’দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দ্বিপক্ষীয় বহুমুখী সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজধানী শহরে বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাস ভবন নির্মাণের প্রধানমন্ত্রী যে নীতিমালা গ্রহণ করেছেন, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সে লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। এই প্রকল্পটিতে সহযোগিতা করার জন্য তিনি ভুটান ও বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

থিম্পুতে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ প্রকল্পটির সময় ধরা হয়েছে ১৮ মাস। এতে ১ দশমিক ৫ একর জমিতে দূতাবাস ভবন, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন, স্টাফ কোয়ার্টার্স ও মাল্টিপারপাস হলসহ মোট ৪টি ভবন নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক কার্যাবলী সম্পাদিত হবে।

এইউ 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর