এনি অ্যামাজন অ্যাপ নামে একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইও)।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম রবিউল ইসলাম (৩০)। তিনি মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর গ্রামের জড়োন মোল্লার ছেলে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর সাতমসজিদ হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে ১টি ল্যাপটপ, ৩টি মোবাইল ও বিভিন্ন অপারেটর এর ১২টি সিম, পাসপোর্ট, ব্যাংক কার্ড, এনআইডিসহ ব্যাংকের চেক বই জব্দ করা হয়।
শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এটিইউ-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, ভুক্তভোগী এনি অ্যামাজন সাইটে দেখতে পান যে, অনলাইন অ্যাকাউন্ট করে তাদের থেকে পণ্য কিনে অনলাইনে তাদের স্টোরে রেখে দিলে গ্রাহককে কমিশন দিবেন। তিনি সরল বিশ্বাসে সেই অ্যাপ পরিচালনাকারী সদস্য পরিচয়দানকারী ব্যক্তিদের কথায় বিশ্বাস করেন। পাশাপাশি ব্যবসায়িক মুনাফার আশায় বিকাশ ও রকেট এর মাধ্যমে সাড়ে তিন লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। সেই টাকা ক্যাশ আউট করে গ্রেফতারকৃত রবিউল ইসলাম গ্রহণ করেন। কিন্তু সেই টাকার বিনিময়ে সমপরিমাণ মালামাল না দিয়ে এনি অ্যামাজান অ্যাপ পরিচালনাকারী সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্রের সদস্যরা ভাগাভাগি করে নেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরো জানান, রবিউলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনলাইনে চাকরি নামে প্রতারণা, বেটিং সাইটের লোন প্রজেক্টসহ বিভিন্ন অনলাইন প্রতারণার হোতা চীনা নাগরিক লি জিয়াংকে প্রেফতারের উদ্দেশ্যে উত্তরার এক বাসায় অভিযান চালানো হয় কিন্তু পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। উত্তরায় অভিযানকালে এই চক্রের সদস্যদের প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩৫ টি অ্যানড্রয়েড মোবাইল সেট, ৪টি ল্যাপটপ, ২৪টি সিম কার্ডসহ ইউএসবি পোর্টের হাব জব্দ করা হয়েছে।
বিদেশি নাগরিকসহ সাত আটজন প্রতারক পরস্পর যোগসাজসে ৭ থেকে ৮ মাস ধরে এই অ্যাপস ও চাকরি দেয়াসহ নানা প্রলোভনের মাধ্যমে প্রতারণামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত ও পলাতকদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এমআইকে

