সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে প্রয়োজনে আইন দেখে ভোটের সময় বাড়ানোর বিষয়টি ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে নির্বাচন কমিশন তাদের স্বাগত জানাবে। ভোটের সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আইন মেনে তাদের জন্য নির্বাচনে আসার পথ তৈরি করা হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ইতোমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার শরিকরা। অন্যদিকে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের মিত্ররা তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে তারা। এ অবস্থায় তফসিল ঘোষণা হলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হলে নির্বাচনের স্বার্থে ভোটের তারিখ পেছানোর বিষয়টি কমিশন ভেবে দেখবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে আইন দেখে সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। ভোটের তারিখ পেছানোর প্রয়োজন হলে ভেবে দেখবে কমিশন।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার পাশাপাশি রাজনৈতিক সংকট নিরসনের ইসির কোনো সাংবিধানিক সুযোগ নেই। তবে এখনও সময় আছে, সেই সুযোগ বিএনপি নিতে পারে বলে আমি আশা করি।’
রাশেদা সুলতানা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করবে কমিশন। রাজনৈতিক সংকট দ্রুত সমাধান হবে বলেও আমার বিশ্বাস।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ ইসির নিয়ন্ত্রণে। তারা আইন অনুযায়ী কাজ না করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোটের সময় সরকারের কাজ এখন আমাদের সহযোগিতা দেয়া। আমরা আশা করি তারা সেই সহযোগিতা দেবেন।’
বিইউ/এমআর